জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের বিপক্ষে। জামায়াতে ইসলামী চায় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন।আরেক অনিবন্ধিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য চায় গণ পরিষদ নির্বাচন।
সদ্যগঠিত দল এনসিপির সংস্কার বিষয়ক কমিটির কো-অর্ডিনেটর সরোয়ার তুষার বলেন, "আমরা সংবিধান পুনর্লিখন চাই। আর তার জন্য আগে প্রয়োজন গণ পরিষদ নির্বাচন।”
মূলত সংবিধান সংস্কার আর অন্য সংস্কারে যে সাংবিধানিক পরিবর্তনের দরকার হবে, সেখানেই মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য সংস্কারগুলো এই সরকারই যে অধ্যাদেশের মাধ্যমে করতে পারে সেই ব্যাপারে খুব একটা মতপার্থক্য নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যেসব সংস্কার, সেসব ব্যাপারে সবাই প্রায় একমত।
সরোয়ার তুষার বলেন, " গণপরিষদ নির্বাচন হলো সংবিধান পরিবর্তনের নির্বাচন। প্রকৃত সংস্কার করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চাই। যদি ঐকমত্য হয়, তাহলে নির্ধারিত সময় (ডিসেম্বর)-এর মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। আমরা সব মিলিয়ে ১৬৬টির মধ্যে ২২টি প্রস্তাবে সরাসরি দ্বিমত করেছি। ২৯টিতে আংশিক একমত এবং ১১৩টিতে পুরোপুরি একমত।”
"আমরা দুই কক্ষ সংসদের পক্ষে। কিন্তু দুইটিতেই সরাসরি নির্বাচন চাই। দুই কক্ষেই প্রার্থী থাকবে। আর উচ্চ কক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন হবে। যে দল যত ভোট পাবে, সেই অনুযায়ী প্রতিনিধি পাবে। কিন্তু বিএনপি দুই কক্ষ চাইলেও তারা নিম্ন কক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চ কক্ষ চায়,” বলেন তিনি।