আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন সত্যি করলো আকাশচুম্বী ‘বুর্জ দুবাই’
৪ জানুয়ারি ২০১০সোমবার সবগুলো রেকর্ড নিজের করে নিয়ে, সবার মাথা ছাড়িয়ে আত্মপ্রকাশ করলো ‘বুর্জ দুবাই'৷ এক লাফেই বেড়ে গেল দুবাই শহরের মর্যাদা৷ আর তার সঙ্গে সঙ্গে, অনেকটাই যেন সত্যি হলো আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন৷ শুরু হলো অট্টালিকার আকাশচুম্বনের গল্প !
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘বুর্জ দুবাই'-এর নির্মাতা ‘ইমার প্রোপার্টিস পিজেএসসি'-এর প্রধান মোহাম্মদ আল-আব্বার জানান, ‘‘আমি মনে করি, ১২ হাজার পরিবারের থাকার উপযোগী এরকম একটা বিরাট কাঠামো তৈরি করাটা ব্যাপক কৃতিত্বেরই প্রতীক৷ এখানে কাঠামোর ডিজাইন, ভেতরের ডিজাইন, নির্মাণ রীতি, ইঞ্জিনিয়ারিং - সব ডিজাইনের সীমানাই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে৷''
‘বুর্জ দুবাই'-এর কাঠামোনির্মাণ বিভাগের প্রকৌশলী উইলিয়াম বেকার জানান, ‘‘১৬০ তলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারটির উচ্চতা ৮০০ মিটার বা ২,৬২৫ ফুট-এরও বেশি৷ এছাড়াও, এতে আছে ১০০০টি ফ্ল্যাট, অসংখ্য অফিস ঘর এবং ‘আরমানি'-র একটি বিলাসবহুল হোটেল৷''
টাওয়ারটির সঠিক উচ্চতা অবশ্য জানান নি উইলিয়াম বেকার৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই প্রকল্পের রহস্যের অংশ হল এটি৷'' তবে ‘বুর্জ দুবাই'-এর মার্কিন স্থপতি এড্রিয়ান স্মিথ-এর আশঙ্কা, কেউ হয়তো এবার এই দীঘল টাওয়ারটির ছায়া মেপে এর উচ্চতা বের করার চেষ্টা করবেন৷ জানা গেছে, শিকাগোভিত্তিক ‘স্কিডমোর' কোম্পানি অতিকায় লম্বা এই টাওয়ারটিকে দাঁড় করিয়ে রাখতে এর কাঠামোগত ভিতের উন্নয়ন ঘটায়৷ যা দেখতে নাকি ইংরেজি ‘ওয়াই' অক্ষরের মতো৷
উল্লেখ্য, ‘স্কিডমোর' তৈরি শিকাগোর ‘সিয়ার্স টাওয়ার'-এর থেকে এই ‘বুর্জ দুবাই' প্রায় দ্বিগুণ লম্বা৷ ৩৫ বছরের পুরনো এই ‘সিয়ার্স টাওয়ার'-ই একসময় বিশ্বের সর্বোচ্চ কাঠামো ছিল৷ কিন্তু এখন, তার স্থান নেমে গেছে পাঁচ নম্বরে৷ আর সোমবার ‘বুর্জ দুবাই' উদ্বোধন হওয়ার পর, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে পরিচিত তাইপের ‘ওয়ান জিরো ওয়ান' স্বভাবতই নেমে আসছে দ্বিতীয় স্থানে৷
তাহলেই ভাবুন, মানুষের আকাশচুম্বনের স্বপ্ন তাকে কতো উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে !
প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক