অপতথ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা বন্ধ করলো ট্রাম্প প্রশাসন
১৭ এপ্রিল ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই ধরনের সংস্থার আর কোনো প্রয়োজন নেই। তার বক্তব্য, মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছিল এই সংস্থা। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অভিযোগ, সাধারণ মতামত প্রকাশ করে অ্যামেরিকানদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছিল, এমনকী জেলেও যেতে হচ্ছিল। এমন সংস্থার আর কোনো প্রয়োজন নেই। সে কারণেই এই সংস্থাটিকে বন্ধ করা হলো।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই সংস্থাটি তৈরি হয়েছিল মূলত রাশিয়া এবং চীন নিয়ে তৈরি হওয়া অপতথ্য খুঁজে বার করার জন্য এবং সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেওয়ার জন্য।
রুবিও জানিয়েছেন, ওই অফিস বছরে ৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করতো শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার জন্য। বস্তুত, এই সংস্থাটিকে নিয়ে বরাবরই সমস্যা ছিল রিপাবলিকানদের। তাদের বক্তব্য ছিল, রক্ষণশীল মিডিয়ার খবরকে বার বার আক্রমণ করেছে এই সংস্থা।
আদালত অবমাননার মুখে পড়তে পারে ট্রাম্প প্রশাসন
যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারক জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসকে এই নোটিস পাঠানো হতে পারে।
অভিযোগ, বিচারক জেমস বোসবার্গ নির্দেশ দিয়েছিলেন, এল সালভাদোরের জেলে যে ব্যক্তিদের প্লেনে করে ডিপোর্ট করা হচ্ছে, সেই বিমান ফিরিয়ে আনতে হবে। যাদের ডিপোর্ট করা হচ্ছে, তাদের ডিপোর্ট করা যাবে না। কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সেই নির্দেশে কর্ণপাত করেনি। সেই মামলার সূত্র ধরেই বুধবার বিচারক জেমস একটি ৪০ পাতার রায় দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে আদালতে এসে ক্ষমা চাওয়ার এবং কৃতকর্মের কারণ জানানোর। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস জারি করা হবে।
আবার শিরোনামে হার্ভার্ড
এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কর ছাড়ের সুবিধা তুলে দিতে পারে মার্কিন প্রশাসন। বুধবার এই খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট। সংবাদে বলা হয়েছে, দেশের ইন্টারনাল রেভেনিউ সার্ভিস বিভাগকে ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এবিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য অ্যামেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ৫০১ (সি)(৩) ধারায় করছাড়ের সুযোগ পায়। হার্ভার্ডের কাছ থেকে এই সুযোগ কেড়ে নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বস্তুত, এর আগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছিল। হার্ভার্ড জানিয়ে দিয়েছিল, প্রশাসন যতই চাপ দিক, অ্যাকাডেমিক বিষয়ে তারা কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে দেবে না।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)