অনলাইনে ভুয়া রিভিউ রুখতে নির্দেশিকার প্রস্তাব ভারতের
২২ নভেম্বর ২০২২অ্যালফাবেট আইএনসির গুগল, মেটা প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং আমাজন ডট কম সহ ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক সাইট এবং ফুড ডেলিভারি অ্যাপের কোম্পানিগুলোর জন্য সরকার একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে।
এই অ্যাপগুলির অনেক কিছু রিভিউ এবং রেটিংয়ের উপর নির্ভর করে৷ পণ্য বা অ্যাপটি ব্যবহার সংক্রান্ত ইতিবাচক রিভিউ সম্ভাব্য ক্রেতাদের আগ্রহ তৈরিতে সহায়তা করে। পণ্য বিক্রিতে জরুরি ভূমিকা রয়েছে এই রিভিউর।
কিছু কোম্পানি উপভোক্তা বা গ্রাহকদের এবং শিল্প বিশেষজ্ঞদের দেয়া নেতিবাচক রিভিউ চেপে দেয়ার জন্য, ভুয়া রেটিং নেয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে। ক্রেতাদের যাচাই করার প্রক্রিয়াটিকে জটিল করে তুলেছে এই সব ভুয়া রিভিউ এবং রেটিং। মেলের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলেও সংস্থাগুলি যদিও তাৎক্ষণিকভাবে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভারতের অন্যতম ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোমাটোর একজন মুখপাত্র বলেন, "ফিডব্যাক মেকানিজম রিভিউ গ্রাহক বা ভোক্তার স্বার্থের জন্য অপরিহার্য। আমরা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। আমরাও নিয়ম মানতে বাধ্য।”
ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের কমিটি গঠন
ভারতের ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য এবং সরবরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুন মাসে এই নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে। ই-কমার্স সাইটে প্রতারণামূলক এবং ভুয়া রিভিউ খতিয়ে দেখতে একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
নির্দেশমূলক খসড়া তৈরি করা কমিটির অংশ হলো লোকালসার্কেল নামে একটি কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম। প্রাথমিকভাবে তারা প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা শচীন তাপোরিয়া বার্তাসংস্থাকে বলেন, ''অনলাইন রিভিউর জন্য নতুন নির্দেশিকাগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং তথ্যও নির্ভুল হয়।''
তাপারিয়া বলেন, ''নতুন নিয়মবলীতে নির্দিষ্ট ছয় থেকে আটটি পদ্ধতির মাধ্যমে গুগল এবং ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো রিভিউর পিছনে থাকা আসল ব্যক্তিকে যাচাই করতে পারবে। শুধু রিভিউ দেয়ার জন্য তৈরি করা ভুয়া অ্যাকাউন্ট সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যাবে বা সক্রিয় থাকবে না।
যদিও প্রস্তাবনার সম্পূর্ণ বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব রোহিতকুমার সিং। তিনি বলেন, ''আমরা প্রথমে এই নির্দেশিকাগুলি 'ভলান্টারি কমপ্লায়েন্স' দেখবো৷ যদি দেখি বিপদ বাড়ছে, তবে আমরা এটি বাধ্যতামূলক করতে পারি।''
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড এই বিষয়টির মূল্যায়ন করবে।
অনলাইন কোম্পানিগুলি বলেছে, ভুয়া রিভিউ রুখতে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারা। কিন্তু এখন এটি ব্যর্থ হওয়া তো নির্দেশ লঙ্ঘন করা নয়৷
তাপারিয়া জানান, নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক হলে নেতিবাচক রিভিউ গোপন করা কিংবা জাল ইতিবাচক রিভিউর মাধ্যমে ব্যবসায় অনায্য পন্থা নিলে কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
আরকেসি/এসিবি (রয়টার্স)