NATO সম্মেলন : নিরাপত্তা ব্যবস্থা
২৫ জুন ২০০৪সোমবার তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে শুরু হচ্ছে সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন৷ সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লু বুশ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার সহ ২৬টি সদস্য দেশের শীর্ষ নেতারা৷ অতএব তুরস্কের কর্তৃপক্ষকে তাদের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ ইস্তানবুল শহরের পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র রমজ়ান এর আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম সম্ভাব্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ প্রায় ২৩,০০০ পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হচ্ছে৷ সম্মেলনের আশেপাশের এলাকা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ তুরস্কের অনেক শহরে পুলিশ বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়া গেছে, ইজ়মিত শহরে নিষিদ্ধ চরম বামপন্থী এক গোষ্ঠীর সদস্য সন্দেহে ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ ইস্তানবুলের হামলার জন্যও ঐ গোষ্ঠীকে দায়ী করছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ৷
ইস্তানবুল শহরে শুক্রবারও নিরাপত্তার বিশাল ব্যবস্থা স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে৷ অনেক রাস্তা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, পুলিশ ইচ্ছামতো গাড়ি তল্লাশী করছে৷
এবারের সম্মলনে আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ইরাকের পরিস্থিতিই সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে - এটা ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ইরাকের পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ন্যাটো কী ধরণের ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে, সেবিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লু বুশ বলেন, ন্যাটো ভুক্ত কোনো দেশ থেকে আমরা ইরাকের জন্য বাড়তি সৈন্য পাবো কি না, সেবিষয়ে আমি নিশ্চিত নয়৷ আমার মনে হয়, ন্যাটোর যেসব দেশ ইতিমধ্যেই ইরাকে সেনা পাঠিয়েছে, তাদের পক্ষে নতুন করে আরও সৈন্য পাঠানো সম্ভব নয়৷ আর বাকি কয়েকটি দেশ এই কাজ করতে আগ্রহী নয়৷ তবে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সকলেই সহায়তা করবে৷ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আলাওয়ি দেশে স্থিতিশীলতা আনতে ন্যাটোর কাছে পুলিশ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সহায়তা চেয়েছেন৷ তবে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে ইরাকীদের নিজেদেরই দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে৷ সম্মেলনে আমরা আফগানিস্তান সম্পর্কেও কথা বলবো৷
ইরাক ছাড়াও বসনিয়ায় ন্যাটোর অভিযানের সমাপ্তি এবং কসোভোয় অভিযানের মেয়াদ বাড়ানো সম্পর্কেও আলোচনা হবে৷ তবে জোটে নতুন কোনো রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা আপাতত নেই৷