১০১টি দেহ এখনো চিহ্নিত করা যায়নি
৬ জুন ২০২৩ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনো টাটকা। ঘটনাস্থলে এখনো পড়ে আছে দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বগি। এখনো ঘটনাস্থল ঘিরে হাহাকার আর কান্নার রোল। প্রিয় মানুষকে খুঁজে ফিরছেন আত্মীয়স্বজনেরা।
তারই মধ্যে রেলের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ১০১টি মৃতদেহ এখনো মর্গে পড়ে আছে। তাদের চিহ্নিত করা যায়নি। দেহগুলি একাধিক মর্গে ভাগ করে রাখা হয়েছে। পূর্ব মধ্য রেলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রিনকেশ রায় সাংবাদিকদের বলেছেন, সব মিলিয়ে ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১০০ মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার মধ্যে ৯০০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তবে যে দেহগুলি চিহ্নিত হয়নি, সেগুলি নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রেল কর্তৃপক্ষ। এতগুলি দেহ একসঙ্গে রাখা কঠিন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে একটি মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। বহুদিনের মধ্যে এত ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটেনি রেলে। ঘটনাস্থলে কার্যত মুড়ির টিনের মতো উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই ট্রেনটি। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, সিগনালিংয়ের গন্ডগোলের জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে তদন্ত এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।
এদিকে স্থানীয় হাসপাতালগুলি জানিয়েছে, প্রতিদিন শয়ে শয়ে ফোন আসছে তাদের কাছে। আত্মীয়দের খুঁজতে শয়ে শয়ে মানুষ প্রতিদিন হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। আহতদের কাছেও ধীরে ধীরে আত্মীয়েরা পৌঁছাচ্ছেন। বিএমসি হাসপাতালে ১৯৩টি মৃতদেহ রাখা আছে। তার মধ্যে মাত্র ৮০টি চিহ্নিত হয়েছে। ৫৫টি দেহ আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকেলের পর ওই রুটে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)