হাইপারলুপে ১৫ সেকেণ্ডে ৫০০ মিটার পাড়ি
৯ নভেম্বর ২০২০ভার্জিন কোম্পানির জন্য ব্রিটিশ ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্র্যানসন সারা বিশ্বে পরিচিত৷ বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি ২০১৭ সালে হাইপারলুপ টেকনোলজি সংস্থাকে কিনে নেয় ব্র্যানসনের ভার্জিন প্রতিষ্ঠান৷
এর আগে, ২০১২ সালে এই হাইপারলুপ প্রযুক্তির দৈনন্দিন ব্যবহারে সর্বপ্রথম আগ্রহ দেখান টেসলা ও স্পেস-এক্সের প্রধান ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এলন মাস্ক৷ এরপর, আরো অনেক উদ্যোক্তা যোগ দিতে থাকেন বাস্তবায়নে৷
এই প্রযুক্তিতে ভ্যাকুয়াম-নিয়ন্ত্রিত যানের মাধ্যমে হাইপালুপ পড খুবই কম সময়ে লম্বা পথ পাড়ি দিতে পারে৷ অবশেষে নানা স্তরের গবেষণার পর, এই প্রথম হাইপারলুপ প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষভাবে নির্মিত যান বা ‘পড’ কোনো মানুষকে তার যাত্রী হিসাবে পেলো৷
কেমন অভিজ্ঞতা এই হাইপারলুপে?
ভার্জিন এর দুই কর্মী রোববার অ্যামেরিকার নেভাডা রাজ্যের মরুভূমিতে একটি বিশেষ পরীক্ষামূলক হাইপারলুপ যাত্রায় অংশ নেন৷ ৫০০ মিটারের দূরত্ব সেই যাত্রায় সম্পূর্ণ করতে লাগে মাত্র ১৫ সেকেণ্ড৷
সংবাদসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, এই পদক্ষেপকে হাইপারলুপ গবেষণায় বিরাট সাফল্য হিসাবে দেখছে ভার্জিন৷
যাত্রী সারা লুসিয়ান জানান যে হাইপারলুপে চড়ার অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য ‘‘শারীরিক ও মানসিক, দুই দিক দিয়েই ছিল অত্যন্ত উত্তেজক৷’’ কোনো ধরনের অস্বস্তি বোধ করেননি সারা, জানাচ্ছে এএফপি৷
এই প্রযুক্তি পরীক্ষার স্তর পেরোলে একবারে ২৮জনকে নিতে পারবে, বলে মনে করছে ভার্জিন৷ ভার্জিন হাইপারলুপ এই খাতে ইতিমধ্যে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় ৩৪০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ জোগাড় করেছে, যার মধ্যে রয়েছে দুবাই সরকারের ডিপি ওয়ার্লড সংস্থাও৷
হাইপারলুপ যানের প্রথম সফল পরীক্ষামূলক যাত্রা নিয়ে রীতিমত উচ্ছ্বসিত ভার্জিন৷ কিন্তু অন্যান্য মহলে এই যানের নিরাপত্তার মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ সুইডেনের রয়াল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির এক গবেষক জানান যে তাঁর মতে এই ধরনের অতিগতিসম্পন্ন যাত্রায় যাত্রীদের ‘গা গুলিয়ে ওঠা’র সম্ভাবনা প্রবল৷
এসএস/কেএম (এএফপি)
২০১৬ সালের জানুয়ারির ছবিঘরটি দেখুন...