এই সম্মেলন শেষ হতে না হতেই নতুন শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে৷
প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা বাড়তি দিতে হবে তাদের৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্ববিরোধী বলছেন উদ্যোক্তারা৷ পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগকারীরা এতে আশাহত হবেন এবং নতুন বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়েছে বলেও মনে করছেন তারা৷
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘হঠাৎ করে এই মূল্যবৃদ্ধিতে দেশে-বিদেশে খারাপ বার্তা যাবে৷ নতুন বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাবেন না৷ ফলে দেশে শিল্প কলকারখানা স্থাপনে স্থবিরতা নেমে আসবে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমনিতেই আমাদের পণ্যে সাড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়৷ এর সঙ্গে সম্প্রতি আরও ১০ শতাংশ যোগ হয়েছে৷ এতেই আমরা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি৷ এরপর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের দারুণভাবে হতাশ করেছে৷ আমরা এমনিতেই প্রতিযোগিতা থেকে পিছয়ে পড়ছি, এতে আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা আরও কমে যাবে৷ এখন তো সরকার ঠিকমতো গ্যাসই দিতে পারছে না৷ প্রায়ই মিটার জিরোতে চলে আসে৷ উৎপাদন ঠিক রাখতে আমাদের ডিজেলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে৷ সবমিলিয়ে কী পরিমাণ খরচ বাড়বে, সেটা এফোর্ট করার সক্ষমতা কি আমাদের আছে?''