সোনার মেডেল জীবন বদলে দিয়েছে অচিন্ত্যর
জীবনটাই বদলে গেছে অচিন্ত্য শিউলির। হাওড়ার পাঁচলার গ্রামের অত্যন্ত গরিব ঘরের সন্তান অচিন্ত্য এখন হিরো।
সোনার মেডেল পাওয়ার পর
কমনওয়েলথ গেমসে সোনা পাওয়ার পর অচিন্ত্য শিউলির জীবনে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন তিনি হাওড়ার পাঁচলায় নিজের গ্রামে। সেখানে রাতারাতি হিরোর মর্যাদা পাচ্ছেন অচিন্ত্য। কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবার নেমেই ৭৩ কিলোগ্রাম বিভাগে সোনা পেয়েছেন তিনি। সেই সোনা নিয়ে নিজের বাড়ির সামনে অচিন্ত্য শিউলি।
কেমন করে সোনা?
অচিন্ত্য জানিয়েছেন, সাফল্য পেতে হলে পরিশ্রম তো করতেই হবে। তার সঙ্গে ধৈর্যও চাই। প্রতিযোগিতা শুরুর এক মাস আগে তিনি ইংল্যান্ড পৌঁছেছিলেন। সেটাও তাকে সাহায্য করেছে। এই রসায়নেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। ছবিতে নিজের স্কুলের সামনে অচিন্ত্য।
হিরোর মর্যাদা
অচিন্ত্য এখন গ্রামে তো বটেই, গ্রামের বাইরে কলকাতাতেও হিরোর মর্যাদা পাচ্ছেন। তার এই রূপকথাসম উত্থানের জন্য। তার সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি করছেন বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই।
স্বাধীনতা দিবসে
এবার ছিল ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর। সেই উপলক্ষে কলকাতায় একাধিক জায়গায় ডাক পেয়েছিলেন অচিন্ত্য। শ্রীভূমিতে পতাকা উত্তোলনের সময় ছিলেন অচিন্ত্য।
মন্ত্রীর সঙ্গে
শ্রীভূমির অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে অচিন্ত্য। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে। সেখানে অচিন্ত্য ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রে।
মায়ের আবদার
কমনওয়েলথে সোনা চাড়াও প্রচুর পদক পেয়েছেন অচিন্ত্য। সেগুলি দেওয়ালে পেরেকে ঝুলিয়ে রাখতে হতো। অনেক পদক তো ভিতরে ঢুকিয়ে রাখতে হতো। এবার ছেলে আসার পর তার কাছে একটা আলমারি কিনে দেয়ার আবদার করেছেন মা। যাতে অচিন্ত্যর সব পদক সেখানে গুছিয়ে রাখা য়ায়।
অনুশীলন চলছে
অচিন্ত্যর অনুশীলন চলছে। এবার তার লক্ষ্য অলিম্পিকে পদক। এবারের লক্ষ্য আরো অনেক বড়। তার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন অচিন্ত্য।