সিংহাসন রক্ষা করতে বিয়ে করলেন মোনাকোর প্রিন্স
৩ জুলাই ২০১১শুক্রবার প্রথম দিনে ছিল রাজকীয় আনুষ্ঠানিকতা, আর দ্বিতীয় দিন হলো পুরোপুরি খ্রিষ্টীয় ক্যাথলিক রীতি অনুযায়ী৷ এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল সাড়ে তিন হাজার অতিথি, যার মধ্যে ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি৷ এছাড়া দেশ বিদেশের রাজা রাণীরা তো ছিলেনই৷
ভ্যাটিক্যান সিটির পরই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ মোনাকো; যার আয়তন মাত্র দুই বর্গকিলোমিটার৷ এই দেশটিকে ১৩ শতক থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এই প্রিন্স অ্যালবার্টের পরিবার৷ কিন্তু ‘প্লেবয়' প্রিন্সের লাগামছাড়া জীবন যাপনের কারণে এক সময় রাজপরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল৷
খ্যাতি আর সম্পদের কারণে জীবনটাকে পুরোপুরি উপভোগ করেছেন মোনাকোর প্রিন্স৷ বিয়ে না করলেও যৌন কেলেঙ্কারির দাগ কিন্তু ঠিকই লাগিয়েছেন পরিবারের কপালে৷ দুই দুই জন অবৈধ সন্তানের খোঁজ মিলেছে এখন পর্যন্ত৷ এরপরও গোঁ ধরেছিলেন বিয়ে করবেন না৷ রাজরক্ত অব্যাহত রাখতে তাই ২০০২ সালে মোনাকোর সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয়৷ কোন উত্তরাধিকারি না রেখে প্রিন্স মারা গেলে তার বোনই হতেন রাজপরিবারের পরবর্তী উত্তরাধিকারি৷ তবে শেষ পর্যন্ত মতি ফিরেছে প্রিন্স অ্যালবার্টের৷ তাই ৫৩ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন প্রিন্স অ্যালবার্ট৷ আর কনে ৩৩ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী শার্লিন উইটস্টক৷ রাজপরিবারকে টিঁকিয়ে রাখার দায়িত্বটি এখন প্রিন্সেস শার্লিনের ওপর৷ তাকে এখন একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিতেই হবে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী