সার্ক নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুমোদন করবে বাংলাদেশ
২৯ জুলাই ২০০৮এছাড়া অন্য সকলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে শ্রীলংকান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা৷
বাংলাদেশের দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সংবাদদাতা মাঈনুল আলম এই সম্মেলনের খবর সংগ্রহের জন্য এখন রয়েছেন শ্রীলংকার রাজধানী কলোম্বোতে৷ সেখান থেকে তিনি ডয়েচে ভেলেকে জানালেন, এবারে কলোম্বোয় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি প্রটোকল স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে৷
তিনি জানান মূলত এই প্রটোকলটি ইতিমধ্যেই ভারত এবং পাকিস্তান অনুমোদন করেছে৷ বাংলাদেশ খুব শিগগিরই অনুমোদন করবে৷ এই প্রটোকলটি স্বাক্ষরিত হলে সংস্থাভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বোমা বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে অন্য দেশের সন্ত্রাসীদের যোগসাজশ থাকলে তা খুজে বের করা সহজতর হবে৷ তাছাড়া আইনগত বিভিন্ন বিষয়েও স্ব স্ব দেশ এক সঙ্গে কাজ করতে পারবে৷
জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে খাদ্য সংকট মোকাবিলা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় ধরনের ঘোষণা আসতে পারে৷ সার্ক জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিন্ন বিদ্যুত্ গ্রিড, যৌথ পানি বিদ্যুত্ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে৷
কলম্বোর বন্দরনায়েক মেমোরিয়াল আর্ন্তজাতিক সম্মেলন হলে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ শ্রীলংকার ১৫ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতীয় বাহিনীর দেড় হাজার চৌকষ সদস্য৷ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের আগমন উপলক্ষে ভারত কলম্বোর আকাশ, জল ও স্থলে কয়েকস্তরের নিজস্ব নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল গেরিলাদের যেকোন ধরনের নাশকতামূলক তত্পরতা মোকাবিলা করতেই এই ব্যবস্থা বলে জানা গেছে৷
মাইনুল আলম জানান, ১ লা আগষ্ট বিকালে মনমোহন সিং বিশেষ বিমানযোগে কলম্বো পৌঁছবেন ও ৩ আগস্ট বিকেলেই সম্মেলন শেষে নয়াদিল্লী ফিরে যাবেন৷ ভারতীয় বিমান বাহিনীর নিজস্ব হেলিকপ্টার বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে কলম্বো আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে তাজ সমুদ্র হোটেলে পৌঁছে দেবে প্রধানমন্ত্রীকে৷ ভারত সাগরের তীরে অবস্থিত কলম্বো শহরের উপকূলে শ্রীলঙ্কার জলসীমায় ভারতীয় দুটি যুদ্ধ জাহাজ অবস্থান নেবে৷ জাহাজ দুইটি সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা টহলে থাকবে৷