সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা কলকাতায়
অযোধ্যায় যখন প্রধানমন্ত্রী রামমন্দির উদ্বোধন করছেন, কলকাতায় তখন বিভিন্ন দল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে মিছিল করেছে।
সর্বধর্ম সমন্বয় যাত্রা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বিকেলে কলকাতার রাজপথে সর্বধর্ম সমন্বয় যাত্রা করেছেন। সেখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
মিছিলের শুরু মন্দির থেকে
কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে এদিন মিছিল শুরু করেন মমতা। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। কেন সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিছিল মন্দির থেকে শুরু হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন পক্ষ।
পশ্চিমবঙ্গেও মন্দির
জনগণের করের টাকায় একাধিক মন্দির তৈরি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। দীঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। মানুষের করের টাকায় কীভাবে তৃণমূল সরকার এভাবে মন্দির তৈরি করছে, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।
যাদবপুরের প্রতিবাদ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার দিনভর উত্তেজনা ছিল। দক্ষিণপন্থি ছাত্রসংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার চেষ্টা করে। প্রতিবাদ করেন বামপন্থি ছাত্ররা। প্রাথমিক বচসার পর বিরাট মিছিল বার করেন যাদবপুরের বামপন্থি ছাত্ররা। গেটের বাইরে এসে রাস্তাতেও তারা মিছিল করেন।
পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি
তৃণমূল সরকারের পুলিশ বামপন্থি ছাত্রদের মিছিলে বাধা দেয়। প্রশাসনের সঙ্গে একপ্রস্থ হাতাহাতি হয় ছাত্রদের।
আগুন জ্বেলে প্রতিবাদ
সন্ধ্যায় আগুন জ্বেলে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন বামপন্থি ছাত্ররা। বাইরে থেকেও বেশ কিছু বামপন্থি সংগঠন তাতে যোগ দেয়।
অতি বামদের মিছিল
বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের নিয়ে সিপিআইএম (লিবারেশন)ও একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেখানেও প্রচুর মানুষ যোগ দিয়েছিলেন।
অধীর চৌধুরীর সাংবাদিক সম্মেলন
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন প্রধানমন্ত্রী রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন? অধীরের প্রশ্ন, ধর্মীয় নেতাদের যে কাজ করার কথা, তাতে রাজনীতি ঢুকছে কেন? এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় রাজনীতির অভিযোগ তোলেন তিনি।
মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, রামমন্দির উদ্বোধনের নামে জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা এক ধরনের ভাঁওতাবাজি।
গেরুয়া শিবিরের মিছিল
দক্ষিণপন্থিরাও অবশ্য এদিন কলকাতায় বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান এবং মিছিলের আয়োজন করে। বেশ কিছু এলাকায় মন্দির ঘিরে উৎসবের আয়োজন করা হয়।
রামযাত্রার আয়োজন
বিজেপি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় রামযাত্রার আয়োজন করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রদীপ তুলে দেন তারা।