যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতেই সেনা হত্যাকান্ড
৩ মার্চ ২০০৯এদিকে বাংলাদেশের বনিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷
পিলখানা বিডিআর সদর দফতরে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক- ডিএডি মোহাম্মদ তৌহিদ ও রহিমসহ ৪ জনকে র্যাব গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সন্ধা ৬টার দিকে৷ র্যাবের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের পিলখানার অদূরে হাজারীবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডিএডি তৌহিদ৷ ওই বৈঠকে সাধারন ক্ষমা এবং আত্ম সমর্পনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷ তবে বৈঠকে তৌহিদ তখন সেনা কর্মকর্তা হত্যার কথা গোপন রেখেছিল৷
অন্যদিকে পিলখানায় সেনা কর্মকর্তা হত্যার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে ৩টি তদন্ত কমিটি৷ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাষ্টার জেনারেল জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের সেনা তদন্ত টিম মঙ্গলবার বিডিআর সদর দফতরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷ আর সিআইডির তদন্ত দল সারাদিন আলামত সংগ্রহ করছে৷ মন্ত্রনালয়ের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি বৈঠক করেছে কমিটির প্রধান সাবেক সচিব আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে৷ আনিসুজ্জামান জানিয়েছেন, তারা ৭ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী৷
এদিকে বানিজ্য মন্ত্রী কর্নেল(অব.) ফারুক খান মঙ্গলবার সচিবালয়ে বলেছেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস- করতে চায় তারাই বিডিআর সদর দফতরে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে৷ তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করা৷ তারা এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে৷