যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, কলকাতার স্কুলে মক ড্রিল
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে বুধবার তার প্রশিক্ষণ পেলো কলকাতার চারটি স্কুলের পড়ুয়া সহ আরো অনেকে।
দিল্লি পাবলিক স্কুলে
দিল্লি পাবলিক স্কুলের একটি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সেই মহড়া চলছে। শেখানো হচ্ছে, কোনো ধরনের আক্রমণ হলে নিজেকে এবং অন্যদের বাঁচানোর জন্য কী করতে হবে।
কেন এই প্রশিক্ষণ?
২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হানায় ২৬ জন ভারতীর মৃত্যুর পর থেকে ভারত-পাক সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়। ৭ ও ৮ মে-র দিবাগত রাতে পাকিস্তানের নয়টি জায়গায় আক্রমণ চালায় ভারত। বুধবার রাতে ভারতের ১৫টি শহরে পাকিস্তান হামলা করার চেষ্টা করে এবং সেই আক্রমণ প্রতিহত করা হয় বলে ভারত জানিয়েছে। তবে সরকার আগে থেকেই এই নিরাপত্তা মহড়ার কথা জানিয়েছিল। ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম এই নিরাপত্তা মহড়া হলো।
যে কোনো পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত রাখার শিক্ষা
কেবলমাত্র যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি নয়, যে কোনো সংকটকালীন পরিস্থিতিতেই কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায় তার জন্যেও চলে প্রশিক্ষণ।
লা মার্টিনিয়ার স্কুলে
কলকাতার মিন্টো পার্ক অঞ্চলের লা মার্টিনিয়ার গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তাদের শেখানো হয়েছে সুরক্ষিত থাকার কৌশল।
ধোঁয়া মোকাবিলা
প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে, জরুরি পরিস্থিতিতে ধোঁয়া এবং গ্যাসের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা শিখেছে শিক্ষার্থীরা।
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে
শত্রুপক্ষের হামলার সময় ডেস্কের নিচে লুকিয়ে থাকতে শেখানো হয়েছে এই প্রশিক্ষণে। কোনো আক্রমণ হলে নিরাপদ জায়গার খোঁজের শিক্ষা এভাবেই দেখানো হয়েছে পড়ুয়াদের।
রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ
স্কুল ছাড়া অন্যত্রও চলে এই প্রশিক্ষণ। উপরের ছবিতে রেলকর্মীদের জরুরি পরিস্থিতিতে ধোঁয়া এবং গ্যাস মোকাবিলা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কীভাবে অন্যদের উদ্ধার করতে হবে
সরকারি কর্মীদের শেখানো হয়, কীভাবে বিপদের সময় অন্যদের উদ্ধার করতে হবে।
বাঁচানোর চেষ্টা কীভাবে করতে হয়
কলকাতার ডিআরএম স্পোর্টস গ্রাউন্ডে জরুরি মহড়ার আয়োজন করেছিল ভারতীয় রেলওয়ের শিয়ালদহ ডিভিশনের নাগরিক প্রতিরক্ষা দল। সেখানে শেখানো হয়, জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে অন্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে হয়।