মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড়ে এক হাজার জনের প্রাণহানির আশঙ্কা
ভারত মহাসাগরের পাড়ে অবস্থিত আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় ‘ইডাই’ আঘাত হানে৷ এতে এক হাজার জনের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট৷
প্রথম আঘাত
বৃহস্পতিবার দিন শেষে মোজাম্বিকের উপকূলীয় শহর বায়রার ওপর প্রথম আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘ইডাই’৷ এতে ঘরবাড়ি ভেঙে যায়, রাস্তাঘাট বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে এবং বিদ্যুৎ চলে যায়৷ রেডক্রস সেখানকার ধ্বংসযজ্ঞকে ‘ব্যাপক ও ভয়ংকর’ বলে আখ্যায়িত করেছে৷
অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
মোজাম্বিক ছাড়াও পাশের দেশ জিম্বাবোয়েতে আঘাত হেনেছিল ইডাই৷ দেশটির চিমানিমানি জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সেখানকার অনেক বাসিন্দার বাড়িঘর বন্যায় ভেসে গেছে৷ ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেরান্স শিরি এই ধ্বংসযজ্ঞকে ‘যুদ্ধপরবর্তী অবস্থা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন৷
‘সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতি’
মোজাম্বিক (ছবি) ও জিম্বাবোয়ে দুই দেশেতেই ইডাইয়ের আঘাতে রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ জিম্বাবোয়ের পরিবহণমন্ত্রী জোয়েল বিগি মাটিজা বলেছেন, ‘‘ইতিহাসে আমাদের যত অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্তের ঘটনা ঘটেছে, এটি তার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক৷’’
উদ্ধারকাজ চলছে
জাতিসংঘসহ অন্যান্য ত্রাণ সংস্থা হেলিকপ্টার দিয়ে জরুরি সহায়তা দিচ্ছে৷ জিম্বাবোয়ের সেনাবাহিনীও ত্রাণ বিতরণ করছে৷ কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে৷
মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
মোজাম্বিকের ইতিহাসে সম্ভবত ইডাই-ই সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট ফিলিপ নুসি মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে এক হাজার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন৷ জিম্বাবোয়েতে এখন পর্যন্ত ৯৮ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ তবে নিখোঁজ আছেন কমপক্ষে ২১৭ জন৷ ফলে সেখানেও নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
আরো বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা
মোজাম্বিকে আরো কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ ফলে ঘূর্ণিঝড়ের পর অনেক বাসিন্দা তাঁদের ঘরে ফিরলেও বৃষ্টির কারণে বন্যা এসে তাঁদের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
জেনিফার ক্যামিনো গনজালেস/জেডএইচ