মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে ডিএ-আন্দোলনকারীদের মিছিল
অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপোর বাড়ির কাছে গিয়ে মিছিল আন্দোলনকারীদের।
মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গিয়ে
দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার শহিদ মিনারের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। তাদের দাবি, বকেয়া ডিএ দিতে হবে। এবার তারা মিছিল করলেন মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। হাজরা থেকে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে আবার হাজরায় ফিরলেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তার ভাইপো অভিষেকের বাড়ির কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানালেন তারা।
পুলিশ অনুমতি দেয়নি
প্রথমে কলকাতা পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাদের যুক্তি ছিল, মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের বাড়ির এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে তারা কোনো আপস করতে চান না। তাই নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেই তারা মিছিলের অনুমতি দেয়নি।
হাইকোর্টের অনুমতি
তবে কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয়। শর্ত ছিল, শান্তিরক্ষা করতে হবে। কোনো কু-কথা বলা যাবে না। সেভাবেই মিছিল হলো।
বড় মিছিল
সরকারি কর্মীদের এই মিছিল ছিল বেশ বড়। প্রচুর কর্মী মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের ৩০ শতাংশের বেশি ডিএ বকেয়া আছে। কোনোভাবেই রাজ্য সরকার এই ডিএ দিচ্ছে না। তাদের আন্দোলনের ফলে মাত্র তিন শতাংশ ডিএ বাড়ায় রাজ্য সরকার।
মিছিলে মেয়েরাও
প্রচুর নারী কর্মীও এদিন মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তারা আন্দোলনের পুরোভাগেই আছেন।
গরমের হাত থেকে বাঁচতে
গরমের মধ্যেও মিছিলে হেঁটে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা। গরমের হাত থেকে বাঁচতে বারবার জল খেতে হয়েছে তাদের।
হাজরা থেকে শুরু
হাজরা রোড থেকে মিছিল শুরু হয়ে হরিশ মুখার্জি, আশুতোষ মুখার্জি রোড হয়ে আবার হাজরায় ফিরে আসে।
আলোচনায় ফল হয়নি
হাইকোর্টের পরামর্শে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা আলোচনায় বসেছিলেন। তাতেও কোনো সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি।
সঙ্গে ছিল
মিছিলে একটি শববাহী খাট বহন করেছেন কর্মীরা। তাতে লেখা ছিল, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিবেক'। অর্থাৎ, তারা বোঝাতে চেয়েছেন রাজ্য সরকারের বিবেক মৃত। সেজন্যই তারা বকেয়া ডিএ পাচ্ছেন না।
সরকারের বক্তব্য
রাজ্য সরকারের দাবি, বকেয়া ডিএ পুরোটা মেটাতে গেলে যে টাকা লাগবে, তা খরচ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অত টাকা সরকারি কর্মীদের দিলে উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।