মিয়ানমারে ভূমিকম্প ; নিহত প্রায় ২৯০০
২ এপ্রিল ২০২৫শতাধিক মানুষের এখনো নিখোঁজ। মঙ্গলবার ওই দেশের সামরিক প্রশাসন এই কথা জানিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
ইয়াঙ্গনের জার্মান দূতাবাসের সহকারী প্রধান বিয়াঙ্কা ড্রোগশ ডিডাব্লিউকে জানান মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি। তিনি বলেন, "কেবলমাত্র মান্দালয়তেই মৃতের সংখ্যা দশ হাজার থেকে এক লক্ষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।"
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চলছে উদ্ধারকার্য
দেশ বিদেশ থেকে দল এসে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে খুঁজে বের করা হচ্ছে জীবিতদের।
এই ভূমিকম্পে মান্দালয়ের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী নেপিডো। মান্দালয়ের থেকে ২৭০ কিমি দূরে অবস্থিত এই অঞ্চলটি ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে খুব কাছে। স্থানীয় দমকল বাহিনী এদিন ভূমিকম্পের প্রায় ৯১ ঘণ্টা পরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে ৬৩ বছরের এক নারীকে উদ্ধার করে। ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর থেকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত মানুষ উদ্ধার করার সম্ভবনা অনেক কমে যায়। তবে ওই নারী জীবিত।
ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল
এই ভূমিকম্পের প্রভাব ছড়িয়েছে মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এখনও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও আক্ষরিক অর্থেই অধরা।
ইউনিসেফের প্রতিনিধি জুলিয়া রিস জানান, "এখানে সাহায্যের প্রয়োজন অপরিসীম। এবং যত সময় এগোচ্ছে সেই প্রয়োজন আরও বাড়ছে।" তিনি আরো জানান, "বেশি দেরি হলে ধ্বংসস্তূপ থেকে আর জীবিত মানুষদের উদ্ধার করা যাবে না। গোটা অঞ্চলে পরিষ্কার জল, খাবার এবং ওষুধের প্রয়োজন।
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভুমিকপের আগেও মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের কারণে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। প্রায় দুই কোটি মিয়ানমারবাসীর সাহায্যের প্রয়োজন ছিল।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেশের বিদ্রোহী শক্তিগুলির
বহুদিন ধরে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধের মধ্যেই ভূমিকম্পের অভিঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মিয়ানমার। এই পরিস্থিতিতে দেশের তিনি দলের বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়ান্স যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।
জোটের শরিক মিয়ানমার ন্যাশানাল ডেমোক্র্যাটিক আর্মি, ট্যাং ন্যাশানাল লিবেরাশান আর্মি এবং আরাকান আর্মির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন এর মধ্যে তারা আক্রমণ বন্ধ রাখবেন। কেবলমাত্র আত্মরক্ষার স্বার্থেই বন্দুক ধরবেন তারা।
অন্যদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানালের পক্ষ থেকে সামরিক সরকারকেও শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এসসি/জিএইচ(এপি, এএফপি, রয়টার্স)