ফরাসি অভিযান
১৫ জানুয়ারি ২০১৩আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার মতো দেশে আল-কায়েদা বা তাদের শাখা সংগঠনের জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়ে বাকি বিশ্বের জন্য কত বড় হুমকির সৃষ্টি করেছিল, সেই স্মৃতি ভোলার নয়৷ আফ্রিকার দেশ মালিতে সেই পরিস্থিতি কীভাবে এড়ানো যায়, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ তবে মালির সরকারের অনুরোধে সামরিক সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে একমাত্র ফ্রান্স৷ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে সে দেশের বিমান বাহিনী৷
সোমবার রাতেও ফ্রান্সের বিমানবাহিনী আফ্রিকার দেশ মালির পশ্চিমে দিয়াবালি শহরে হামলা চালিয়েছে৷ সোমবারই ইসলামপন্থী উগ্রবাদীরা শহরটি দখল করে নিয়েছে৷ মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ বলেছেন, মালিতে আরও ফরাসি সৈন্য পাঠানো হবে৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় ৭৫০ ফরাসি সৈন্য সে দেশে মোতায়েন রয়েছে৷ ওলঁদ আরও বলেন, বিদ্রোহীরা দিয়াবালি শহরে জনসাধারণের মধ্যে মিশে যাওয়া সত্ত্বেও তাদের তাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে মালিতে শান্তি ফেরাতে ফ্রান্সের উদ্যোগের প্রতি আবার সমর্থন জানিয়েছেন৷ তবে শুধু সামরিক হস্তক্ষেপ নয় – এমন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে বলে মনে করে জার্মানি৷ ফ্রান্সের সামরিক অভিযানের ফলে রাজধানী বামাকো ইসলামপন্থী উগ্রবাদীদের হাতে চলে যায় নি৷ তাই এখনো রাজনৈতিক সংলাপ সম্ভব বলে ভেস্টারভেলে মনে করেন৷ এক্ষেত্রে জার্মানির সম্ভাব্য ভূমিকা সম্পর্কে তিনি আবার বলেন, সামরিক অভিযানে জার্মানির অংশগ্রহণের কোনো সম্ভাবনা নেই৷ তবে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা করে সাজ-সরঞ্জাম, ওষুধপত্র সহ অন্যান্য সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
বেলজিয়াম ও ডেনমার্ক ফ্রান্সের এই সামরিক অভিযানে সহায়তা করতে পরিবহন বিমান পাঠানোর অঙ্গীকার করেছে৷ ব্রিটেনও দু'টি সামরিক বিমান পাঠাচ্ছে৷ মালিতে আফ্রিকান ইউনিয়ন বাহিনী মোতায়েন করতে এক সপ্তাহ লেগে যাবে বলে মনে করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলঁদ৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, ইপিডি)