মাদার টেরেসার জন্মদিন
কলকাতার মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতে পালিত হলো মাদার টেরেসার জন্মদিন। খাবার দেয়া হলো ফুটপাথবাসীদের।
মাদার এবং কলকাতা
মাদার টেরেসার সঙ্গে কলকাতার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতার আগে থেকে কলকাতার দুস্থ গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন তিনি।
তখন ছিলেন শিক্ষিকা
দার্জিলিংয়ে দীর্ঘদিন পড়িয়েছেন মাদার। দার্জিলিংয়ের পথেই প্রথম দুস্থ, অসুস্থ মানুষদের নিয়ে কাজ করার কথা ভেবেছিলেন মাদার। তার জীবনীতেও সে কথা লিখেছেন তিনি। এরপরেই কলকাতায় তৈরি হয় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি।
সাদা শাড়ি নীল বর্ডার
কলকাতায় আসার পর মাদার দুইটি নীল বর্ডার দেয়া সাদা শাড়ি পরতে শুরু করেন। এখনো মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কর্মীরা ওই পোশাক পরেন।
১১২তম জন্মদিন
শুক্রবার ছিল মাদারের ১১২তম জন্মদিন। মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতে সকালে প্রার্থনার আয়োজন হয়। মাদারের ঘর খুলে দেওয়া হয় সকলের জন্য।
মাদারের ভাবনা
এইচআইভি পজিটিভ, কুষ্ঠ, যক্ষ্মারোগীদের মধ্যে কাজ করতে শুরু করেছিলেন মাদার। এখনো মিশনারিজ অফ চ্যারিটি ওই সমস্ত মানুষদের মধ্যে গিয়ে কাজ করে।
গরিবসেবাই ধর্ম
গরিব মানুষদের মুখে খাবার তুলে দেয়া, পোশাক দেয়া মাদার মানবধর্ম বলে মনে করতেন। এখনো সেই পথ অনুসরণ করেন সেখানকার কর্মীরা।
মানুষের পাশে
শুক্রবার মাদারের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন হয়েছিল। খাবার এবং পোশাক দেয়া হচ্ছে রাস্তার মানুষদের।
নোবেল থেকে সেইন্ট
১৯৭৯ সালে মাদার টেরেসাকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। এর কিছু বছর আগে তিনি পেয়েছিলেন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার। ২০১৬ সালে ভ্যাটিকান সিটি মাদারকে সেইন্ট হিসেবে ঘোষণা করে।