ভারতের ২০ ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে৷ প্রতিবছর তারা এটি করে থাকে৷
এক-দুটি নয়, ২০টি ভুয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে৷ এতে ২০টি প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই প্রতিষ্ঠানগুলি কমিশন দ্বারা স্বীকৃত নয়- যার অর্থ তারা কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ডিগ্রি প্রদানের জন্য অনুমোদিত নয়৷
ডিগ্রি অকেজো
উচ্চশিক্ষা বা চাকরির ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি কোথাও বৈধ নয়৷ ডিগ্রী শুধুমাত্র সেইসব প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদান করা যেতে পারে যেগুলি হয় রাষ্ট্রীয় আইন, কেন্দ্রীয় আইন বা প্রাদেশিক আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অথবা যাদেরকে ১৯৫৬ সালের ইউজিসি আইনের অধীনে ডিগ্রি প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷
দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি আটটি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়
এগুলো হলো অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যান্ড ফিজিক্যাল হেলথ সায়েন্স, স্টেট গভর্নমেন্ট ইউনিভার্সিটি, কমার্শিয়াল ইউনিভার্সিটি লিমিটেড, ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি, ভোকেশনাল ইউনিভার্সিটি, দিল্লি এডিআর সেন্ট্রিক জুরিডিকাল ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউশন অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্বকর্মা ওপেন ইউনিভার্সিটি ফর সেলফ এমপ্লয়মেন্ট, আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয়৷
উত্তরপ্রদেশে চারটি
এগুলো হলো গান্ধী হিন্দি বিদ্যাপীঠ, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ইলেক্ট্রো কমপ্লেক্স হোমিওপ্যাথি, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতীয় শিক্ষা পরিষদ৷
অন্যান্য রাজ্যের ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়
অন্ধ্র প্রদেশের ক্রাইস্ট নিউ টেস্টামেন্ট ডিমড ইউনিভার্সিটি এবং বাইবেল ওপেন ইউনিভার্সিটি অফ ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন এবং ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ, কর্নাটকের বদগনভি সরকার ওয়ার্ল্ড ওপেন ইউনিভার্সিটি এডুকেশন সোসাইটি, কেরালার সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটি, মহারাষ্ট্রের রাজা আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ও পুদুচেরির শ্রী বোধি একাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন৷
শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের পরামর্শ
কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে সেটি স্বীকৃত কিনা তা ইউজিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি৷ এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ইউজিসির আইন লঙ্ঘন করে শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তাহলে ইউজিসিকে ইমেলের মাধ্যমে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে৷