বুশ এর কাছে আহমেদিনজাদ এর চিঠ ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
৯ মে ২০০৬নিউ ইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ঐ বৈঠকে কোন ফলাফল অর্জিত হয় নি৷ কিন্তু ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচিটি বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ করাতে আগ্রহী- যার অধীনে ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ সম্ভব৷ রাশিয়া ও চীন এর প্রবল বিরোধী৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এর কাছে ইরানী প্রেসিডেন্ট আহমেদিনজাদ বিস্ময়করভাবে যে চিঠি লেখেন তা তেহরানে খোলাখুলি চিঠি হিসেবে গণ্য হয় নি৷ ওয়াশিংটন এর মতে, ১৮ পৃষ্ঠার সেই চিঠিতে নতুন কিছু নেই৷ চিঠিটি কোন কাজে আসবে না , তাই তা প্রকাশও করা হবে না৷
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ইরানি প্রেসিডেন্ট এর লেখা চিঠিটি একটা নতুন ব্যাপার বৈকি৷ ইরান বিরোধী একটি প্রস্তাব পাশের লক্ষ্যে যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে বর্তমানে তা থেকে দৃষ্টি দূরে সরানোই হতে পারে এই চিঠির উদ্দেশ৷ কাজেই নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রয়োগের অধিকারী পাঁচটি সদস্যরাষ্ট্র ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ঐ চিঠি কোন ভূমিকা রাখে নি৷ সেই বৈঠক অবশ্য ফলাফল অর্জন ছাড়াই শেষ হয়েছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের বিরুদ্ধে কোন যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে একমত হতে পারে নি৷
ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে৷ কিন্তু তাতে বাধা সৃষ্টি করছে রাশিয়া ও চীন৷ কারণ ইরানে দেশ দুটির রয়েছে বিরাট অর্থনৈতিক স্বার্থ৷
সে যাই হোক, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এর কাছে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনজাদ যে চিঠিটি লিখেছেন, তার ফলে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যেকার বর্তমান মতপার্থক্য নিয়ে আলোচনা শুরু হবে? কিন্তু এ ধরনের আশা করা হবে ভুল৷ ইতিহাসের দিকে তাকালেই এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে৷