বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী শহর
বিশ্বের ধনী শহর কোনগুলো, তার একটি তালিকা তৈরি করেছে লন্ডনভিত্তিক অভিবাসন বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স৷ শীর্ষে থাকা শহরগুলো অভিবাসী বিনিয়োগ কর্মসূচী থেকে সুবিধা পাওয়া দেশের৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
নিউ ইয়র্ক সিটি
তিন লাখ ৪০ হাজার মিলিওনেয়ার (১০ লাখ ডলারের বেশি), ৭২৪ সেন্টি-মিলিওনেয়ার (১০ কোটি ডলারের বেশি) ও ৫৮ জন বিলিওনেয়ার বা শত কোটি ডলার সম্পদের মালিকের বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ঠিকানা এবং ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ম্যানহাটন, কুইনস আর স্টাটেন আইল্যান্ডের অবস্থান এই শহর৷ আছে ফিফথ অ্যাভিনিউর মতো এলাকা যেখানে অ্যাপার্টমেন্টের দাম প্রতি বর্গ মিটার ২৭ হাজার ডলার৷
টোকিও
টোকিওর বাসিন্দাদের দুই লাখ ৯০ হাজার ৩০০ জনই মিলিওনেয়ার, ২৫০ জন সেন্টি-মিলিওনেয়ার আর ১৪ জন বিলিওনেয়ার৷ শীর্ষ দশে থাকা অন্য শহরগুলোর তুলনায় অবশ্য জাপানের রাজধানীর বিলিওনেয়ারের সংখ্যাটা কমই৷ অর্থাৎ, শহরের বসবাসকারীদের সম্পদ অল্প মানুষের হাতে নয় বরং মধ্যবিত্ত আর মিলিওনেয়ারদের মধ্যে বিস্তৃত৷ হিটাচি, হোন্ডা, মিৎসুবিশি, সফটব্যাংক এবং সনির মতো জগদ্বিখ্যাত কোম্পানির শহর এটি৷
দ্য বে এরিয়া
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর দ্য বে এরিয়া, যার মধ্যে পড়ে সিটি অব সান ফ্রান্সিসকো এবং সিলিকন ভ্যালিও৷ এই শহরে বাস করেন ৬৩ জন বিলিওনেয়ার৷ ৬২৯ জন সেন্টি-মিলিওনেয়ার আর দুই লাখ ৯৫ হাজার মিলিওনেয়ার আছেন বাসিন্দাদের মধ্যে৷ অ্যাপল, ফেসবুক, গুগল, এইচপি, ইন্টেল থেকে শুরু করে বিশ্বের শীর্ষ সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এই শহরভিত্তিক৷
লন্ডন
২০০০ সালেও লন্ডনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মিলিওনেয়ারের বসবাস ছিল৷ কিন্তু গত ২০ বছরে তারা তালিকার বেশ নীচে নেমে এসেছে৷ তবে এখনও অনন্য সব আবাসিক এলাকা আছে এর শহরতলীতে৷ যার মধ্যে অন্যতম বেলগ্রেভিয়া, চেলসি, হাম্পস্টিড, নাইটসব্রিজ, মেফেয়ার, রিজেন্টস পার্ক আর সেইন্ট জোন্স উড৷ লন্ডনের রয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার মিলিওনেয়ার, ৩৮৪ সেন্টি-মিলিওনেয়ার ও ৩৬ জন শত কোটি ডলার সম্পদের মালিক বাসিন্দা৷
সিঙ্গাপুর
বিশ্বের ব্যবসায়ীদের পছন্দের এক শহর সিঙ্গাপুর৷ অভিবাসন করতে চাওয়া মিলিওনেয়ারদের গন্তব্য এই শহর৷ হেনলির হিসাবে শুধু গত বছরই সেখানকার এমন নতুন বাসিন্দার সংখ্যা ছিল ২৮০০ জন৷ সব মিলিয়ে দুই লাখ ৪০ হাজার মিলিওনেয়ার, ৩২৯ সেন্টি-মিলিওনেয়ার আর ২৭ বিলিওনেয়ার আছে শহরটিতে৷
লস অ্যাঞ্জেলেস
দুই লাখ পাঁচ হাজার ৪০০ জন মিলিওনেয়ার থেকে এলএ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রর শহরটিতে৷ আছেন ৪৮০ সেন্টি-মিলিওনেয়ার আছে ৪২ বিলিওনেয়ারও৷ তবে এই হিসেবে সিটি অব লস অ্যাঞ্জেলেসের সঙ্গে বেভারলি হিলস আর মালিবুকেও যোগ করা হয়েছে৷ বিনোদন, গণমাধ্যম, খুচরা বিক্রেতা, প্রযুক্তি আর যোগাযোগ কোম্পানির জন্য খ্যাত এই শহর৷
হংকং
গত কয়েক বছরের ধীর প্রবৃদ্ধির পরও শীর্ষ ১০-এ রয়েছে এশিয়ার শহরটি৷ এক লাখ ২৯ হাজার ৫০০ মিলিওনেয়ার, ২৯০ সেন্টি-মিলিওনেয়ার এবং ৩২ জন বিলিওনেয়ারের বসবাস এখানে৷ এশিয়ার অন্যতম শেয়ার বাজার হংকং স্টক মার্কেট ৷
বেইজিং
দ্রুত গতিতে ধনীর সংখ্যা বাড়ছে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে৷ নিউ ইয়র্ক ও বে এরিয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিলিওনেয়ারের ঠিকানা এই শহর৷ ৪৩ জন শতকোটি ডলার সম্পদের মালিক থাকেন শহরটিতে৷ আছেন ৩৫৪ জন সেন্টি-মিলিওনেয়ার এবং এক লাখ ২৮ হাজার ২০০ জন মিলিওনেয়ার৷
সাংহাই
চীনের আর্থিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত সাংহাই আছে তালিকার নবম স্থানে৷ তবে বিলিওনেয়ারের দিক থেকে এই শহরটিও কম যায় না৷ ৪০ জন শতকোটি ডলারের সম্পদের মালিক বসবাস করেন এখানে৷ আছেন এক লাখ ২৭ হাজার মিলিওনেয়ার ও ৩৩২ সেন্টি-মিলিওনেয়ারও৷ বাজার মূলধনের বিবেচনায় নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ আর নাসদাকের পরেই অবস্থান সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের৷
সিডনি
তালিকায় দশম অবস্থানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি৷ এক লাখ ২৬ হাজার ৯০০ মিলিওনেয়ার, ১৮৪ সেন্টি-মিলিওনেয়ার আর ১৫ জন বিলিওনেয়ার আছেন শহরটিতে৷ তবে গত ২০ বছর ধরে শহরটির সম্পদ বেড়েই চলেছে৷ এভাবে চলতে থাকলে ২০৪০ সাল নাগাদ সিডনি উঠে আসবে শীর্ষ পাঁচে৷
ভারতের দুই শহর
৯৭ টি শহরের এই তালিকায় আছে ভারতের দুই শহর মুম্বই আর দিল্লি৷ এর মধ্যে ২১ নম্বরে আছে মুম্বই৷ ২৯ জন বিলিওনেয়ারের থাকেন এই শহরে৷ আছেন ৫৯ হাজার ৪০০ জন মিলিওনেয়ার আর ২৩৮ জন সেন্টি-মিলিওনেয়ার৷ আর ৩৬ নম্বরে থাকা রাজধানী দিল্লির বিলিওনেয়ারের সংখ্যা ১৬৷ আছেন ৩০ হাজার ২০০ মিলিওনেয়ার আর ১২১ সেন্টি-মিলিওনেয়ার৷
এফএস/কেএম (হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স)