বিপাকে পড়া অস্ট্রেলিয়াকে কাঁধে তুললেন কুলি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১বিপাক থেকে বাঁচার উদ্যোগ
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল এই কিছুদিন আগেও গোটা ক্রিকেট বিশ্বে রীতিমত ঘাম ঝরিয়ে দিত বিপক্ষ দলের৷ কিন্তু সে ছবিটা বদলে গেছে বছর দেড়েক ধরে৷ বিশেষ করে শেষ একদিনের বিশ্বকাপে ভারতের দুড়দাড় উত্থানের পর অস্ট্রেলিয়া এখন বেশ বেকায়দায়৷ সেই বেকায়দা থেকে আবার স্বমহিমায় ফেরার চেষ্টা করতেই কোচ বা প্রশিক্ষকের পরিবর্তন যে হবেই সেটা বোঝা যাচ্ছিল৷ তাই নতুন কোচের ঘোষণা শোনা গেল শেষ পর্যন্ত৷
ইংল্যন্ডকে সাফল্য পাওয়ানোর পরেই ট্রয় কুলির আগমন
২০০৩ সালে ইংল্যন্ডের বোলিং কোচিং-এর দায়িত্ব নেন কুলি৷ কুলির আমলেই ইংলিশ বোলারদের, বিশেষ করে পেস বোলারদের উন্নতি রীতিমত চোখে পড়তে থাকে৷ ২০০৫ সালে ইংলিশ ক্রিকেট দল জিতে নেয় অ্যাশেজ৷ সেই সাফল্যের সিংহভাগ কুলির ঝুলিতেই যায়৷ ফলে অস্ট্রেলিয়া যখন তাদের বোলিংটাকে আরও ধারালো করতে চাইছে, সেক্ষেত্রে ট্রয় কুলিই তাদের প্রথম পছন্দ৷ যদিও সে পছন্দ দীর্ঘদিনের জন্য নয়৷ অতি সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেটীয় সফরে যাবে৷ তার আগে এই সফরের জন্যই কুলিকে নির্বাচন করা হয়েছে প্রধান কোচ হিসেবে৷ আগাম জানানো হয়েছে, কুলির নির্বাচন এই সফরের জন্যই শুধুমাত্র ৷
ট্রয় কুলির প্রতিক্রিয়া
৪৫ বছর বয়সী নামজাদা কোচ কুলি বেশ উত্তেজিত৷ ব্যাপারটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, এই অল্পসময়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পেয়ে আমি খুশি৷ কারণ, আমি কোন অবস্থাতেই চাইনি লম্বা সময়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলের দায়িত্ব নিতে৷ আপাতত একেবারে জোর দিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলের বোলিং-এর উন্নতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি৷ যাতে আসন্ন সফরটায় তাঁর দল সাফল্য পায়, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে কুলির৷ আগামী ১৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া দল৷ দুটো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে সফর শুরু হবে৷ তারপর থাকছে তিনটি একদিনের ম্যাচ আর দুটি টেস্টম্যাচ৷ এখন দেখা যাক, এই অল্প সময়ের মধ্যে ক্যাঙ্গারুদের দলকে কতটা উজ্জীবিত করে তুলতে পারেন ট্রয় কুলি৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ