বাচ্চাদের রং-তুলিতে কলকাতার জীর্ণ দেওয়াল হয়ে উঠলো নান্দনিক
উদ্যোগটা নিয়েছিল স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়া। তারপর তারা যখন কাজ শেষ করলো, তখন পুরো এলাকা সুন্দর হয়ে উঠলো।
কর্মশিক্ষার ক্লাসের সুফল
স্কুলের কর্মশিক্ষার ক্লাসকে দারুণভাবে কাজে লাগালো কলকাতা শহরের একদল কিশোর কিশোরী। দক্ষিণ কলকাতার হিন্দুস্থান পার্কের জীর্ণ দেওয়ালগুলো রং-তুলির ছোঁয়ায় এক অন্য মাত্রা পেয়ে গেল।
পিছিয়ে পড়া শ্রেণির বাচ্চাদের দিয়ে
হেরিটেজ স্কুলের একাদশ শ্রেণীর দুই পড়ুয়া তূর্য চৌধুরি এবং অর্ণব বাত্রা এলাকার সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের নিয়ে একটি অঙ্কন প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা করে। তাদের এই উদ্যোগে সামিল হয় ঐষিকী, অস্মিত, পর্ণিকা, অম্বরীশের মত অন্যান্য স্কুলের আরও কিছু পড়ুয়া।
একের পর এক ভাবনা
এরপর ভাবনার আদান-প্রদান হতে হতে তা আর কেবলমাত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতায় থেমে থাকেনি। ওরিগ্যামি কর্মশালা, সঙ্গীত উৎসব থেকে শুরু করে পরিত্যক্ত দেওয়ালে চিত্রাঙ্কন, নানান ভাবনা উঠে আসে আলোচনায়।
স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভাল
ঠিক হয় রঙিন করে তোলা হবে এলাকার পরিত্যক্ত দেওয়াল, আর বছরের শুরুতেই স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভাল-এর মাধ্যমে শহর দেখবে এক অভিনব প্রদর্শনী।
রংয়ের উৎসব
সায়ক, প্রশান্ত, তুষার, প্রভাত, সোহম, সায়নদীপদের তুলির টানে, বেশ কয়েকদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্ণহীন দেওয়াল রূপান্তরিত হয় এক উৎসবে।
তুলির ছোঁয়ায়
বছরের শুরুতেই উৎসবের আবহে এই কর্মকাণ্ড প্রদর্শিত হল শহরের বুকে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানানভাবে সহাহতা করেছে এই উদ্যোগকে।
ওয়াল অফ ফেম
জীর্ণ দেওয়াল রূপান্তরিত হয়েছে ‘ওয়াল অফ ফেম’-এ। প্রখ্যাত লেখক, ভাষাবিদ, রাজনীতিবিদের ছবি আঁকা হয়েছে দেওয়ালে। সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন অনেকদিন ছিলেন এখানে। তাই ওয়াল অফ ফেমে আছে তার ছবি।
আছেন সুনীতিকুমারও
ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একসময় হিন্দুস্থান পার্কের বাসিন্দা ছিলেন। এদের স্মরণেই গড়ে তোলা হয়েছে 'ওয়াল অফ ফেম’।
আছেন জ্য়োতি বসুও
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একসময় হিন্দুস্তান পার্কে থাকতেন। তাই দেওয়ালে উঠে এসেছে তার ছবিও।
সেলফি জোন
এখন তো ‘সেলফি জোন’ তৈরি করা নিয়মের মতো হয়ে গিয়েছে। সেই নিয়ম মেনে এখানেও একটি দেওয়াল সেলফি-প্রেমীদের উৎসর্গ করা হয়েছে।
মানুষ খুশি
এলাকার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে এই ‘স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভালকে। অনেকেই বলছেন, পড়ুয়াদের মস্তিষ্কপ্রসূত এই ধারণা বেশ ব্যতিক্রমী। ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজের আশা করাই যায়।