বাংলা বলে, ইস্ট-মোহনের জার্সি পরে কলকাতার মনজয় মার্তিনেজের
কলকাতার মন জয় করে নিলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্তিনেজ। ইস্ট-মোহনের জার্সি পরে, বাংলায় কথা বলে।
কলকাতায় মার্তিনেজ
কলকাতায় আর্জেন্টিনার সমর্থক প্রচুর। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যাচ হলেই কলকাতা-জুড়ে সাদা-নীল পাতাকা ঝোলে। জার্সির বিক্রি বেড়ে যায়। সেই আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্তিনেজ কলকাতায় এলেন। তাঁকে নিয়ে কলকাতায় উন্মাদনা তুঙ্গে। কলকাতার দুই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের জার্সি পরলেন মার্তিনেজ। উপরের ছবিটি ইস্টবেঙ্গলের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের।
বাংলায় কথা বলে
মার্তিনেজের বিশ্বস্ত হাত একের পর এক গোল বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছে। তিনি কলকাতায় এসে বাংলায় কথা বললেন। ইস্টবেঙ্গলের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বললেন, ' জয় ইস্টবেঙ্গল'। এতেই আপ্লুত ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা।
মার্তিনেজের মুখে 'জয় মোহনবাগান'
শুধু ইস্টবেঙ্গলের সম্বর্ধনায় নয়, মোহনবাগান ক্লাবে গিয়েও একইরকমভাবে বাংলায় মার্তিনেজ বলেছেন, 'জয় মোহনবাগান'। মোহনবাগান মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে বলেছেন, ''আবার কলকাতায় আসব। আর্জেন্টিনার জার্সি পরে খেলব। তখন মেসিকে নিয়ে আসব।'' এরপর মার্তিনেজকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দ্বিগুণ হয়েছে আর্জেন্টিনা ভক্তদের।
ভবিষ্যতে আর মেসি হবে না'
মঙ্গলবার কলকাতার মিলনমেলা প্রাঙ্গনে মার্তিনেজকে নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল 'তাহাদের কথা' নামে একটি সংস্থা। সেখানেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মার্তিনেজকে আজীবন সদস্যপদ দেয়। সেখানেই মার্তিনেজ বলেছেন, মেসিই তার কাছে সর্বকালের সেরা ফুটবলার। আর মেসির মতো ফুটবলার পাওয়া যাবে না। ভবিষ্যতে আর কেউ মেসির মতো হতে পারবে না। মার্টিনেজ বলেছেন, 'আমি ভাগ্যবান যে, আমি মেসির সঙ্গে খেলি।'
'মেসির পেনাল্টি বাঁচিয়েছি প্র্যাক্টিসে'
মোহনবাগান মাঠে মার্তিনেজ বলেছেন, তিনি মেসির পেনাল্টি বাঁচিয়েছেন, তবে প্র্যাক্টিসের সময়। আবার প্র্যাক্টিসে মেসি প্রচুর গোল করেছেন। সেই সব শট আটকাতে পারেননি। বাঁচানোর থেকে গোল খেয়েছেন অনেক বেশি।
'রোনাল্ডো শুধুই একজন ফুটবলার'
কলকাতায় মার্তিনেজ বলেছেন, ''রোনাল্ডো শুধুই একজন ফুটবলার। মেসি অনেক এগিয়ে। আমরা সবাই মেসির জন্য বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। গ্রুপে হেরে গেলেও, বিশ্বাস ছিল, আমরা কাপ জিতে যাব।'' উপরের ছবিতে কলকাতায় ফ্রেন্ডশিপ কাপ হাতে নিয়ে মার্তিনেজ।
মেসি ছাড়াও জিতব'
সামনে কোপা অ্যামেরিকা কাপের খেলা আছে। সেখানে মেসি খেলবেন। মার্তিনেজ বলেছেন, ''আমরা এবার কোপা অ্যামেরিকা কাপ জিততে চাই।'' তবে পরের বিশ্বকাপে সম্ভবত মেসিকে পাবে না আর্জেন্টিনা। মার্তিনেজের জবাব, ''টিমের বাকিরাও বাঘের বাচ্চা। ফলে মেসি অবসর নিলেও আবার বিশ্বকাপ জিততে অসুবিধা হবে না।''
বলে সই
মোহনবাগান ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছোট ভক্তের অনুরোধ মেনে বলে সই করছেন মার্তিনেজ। খুবই হাসিখুশি ছিলেন তিনি। দেখে মনে হয়েছে, কলকাতায় তাকে নিয়ে উন্মাদনা আগাগোড়া উপভোগ করছেন, ভালো লাগছে তার।
সেলফি টাইম
ভক্তরা তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইলে হাসিমুখে তা করেছেন মার্তিনেজ। তিনি কলকাতায় এসেছেন সোমবার। মিলনমেলা প্রাঙ্গনে ও মোহনবাগান ক্লাবে গেছিলেন মঙ্গলবার। বুধবারও কলকাতায় একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
মোহনবাগানে কী করলেন মার্তিনেজ
তার হাতে রসগোল্লার হাঁড়িও তুলে দেয় মোহনবাগান। তিনি স্পোর্টস লাইব্রেরি ঘুরে দেখেন। ক্লাবে ঢোকার পরই ফুল ছড়িয়ে দেয়া হয় তার উপর। ব্যান্ড বাজতে থাকে। উড়তে থাকে আবির।
দর্শকদের উন্মাদনা
মোহনবাগান মাঠ ভরিয়ে দিয়েছিলেন মার্তিনেজ-ভক্তরা। সেখানে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে মোহনবাগানের একটা ম্যাচ হয়। তার আগে মার্তিনেজকে খোলা জিপে মাঠ ঘোরানো হয়। মোহনবাগান গোলপোস্টের সামনে ছবির জন্য পোজ দেন মার্তিনেজ।
সাদা-নীল জার্সি গায়ে
অনেক দর্শকই এসেছিলেন আর্জেন্টিনার সাদা-নীল জার্সি গায়ে। সঙ্গে বিশ্বকাপের কাটআউট। মার্তিনেজকে দেখে তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন। ক্লাবের সামনেও ছিল প্রচুর ভিড়। মিলনমেলা প্রাঙ্গনে তো ভিড় সামলাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। মার্তিনেজের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি করেন সাবেক ফুটবলাররা।