বলসোনারোকে গৃহবন্দির নির্দেশ ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের
৫ আগস্ট ২০২৫ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইয়ার বলসোনারোকে এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ, ২০২২ সালের নির্বাচনে বামপন্থি নেতা লুলা দ্য সিলভার কাছে পরাজিত হওয়ার পরেও ভোটের ফলাফল মানতে চাননি বলসোনারো। শুধু তা-ই নয়, তিনি চেষ্টা করেছিলেন, নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহর আগুন জ্বালাতে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির পর বিচারপতি আদেশ দিয়েছেন, আপাতত গৃহবন্দি থাকতে হবে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। তার পায়ে ট্র্যাকার লাগানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বলসোনারো কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। সামাজিক মাধ্যমে কোনো পোস্ট করতে পারবেন না। তার কোনো বক্তব্য বা ভাষণ অন্য কেউ প্রচার করতে পারবে না।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ মানেননি বলসোনারোর অনুগামীরা। নির্দেশ জানার পরেই ৭০ বছরের নেতার সঙ্গে তার ছেলের একটি ফোন কলের রেকর্ডিং একটি সভায় প্রচার করা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে রাজি নন বলসোনারো এবং তার দলীয় কর্মীরা।
বস্তুত, সুপ্রিম কোর্ট বলসোনারোর মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের আইনজীবী জানিয়ে দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে।
বলসোনারোর পাশে ট্রাম্প
অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের কড়া নিন্দা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ভাবে ব্রাজিলে গণতন্ত্র নষ্ট করা হচ্ছে। বিরোধী কণ্ঠ অবদমনের চেষ্টা হচ্ছে। অ্যামেরিকা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বলসোনারোর মামলা আদালতে চলাকালীন গত সপ্তাহে অ্যামেরিকা ব্রাজিলের একাধিক জিনিসের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে। এর মধ্যে কফিও আছে। কোনো দেশের উপর এটাই ট্রাম্পের ধার্য করা সর্বোচ্চ শুল্ক। বোঝাই যাচ্ছে, দেশের সরকারের উপর চাপ তৈরি করতেই একাজ করেছে অ্যামেরিকা।
বস্তুত, এর আগের শাসনকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তৎকালীন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো।
ব্রাজিলের রাস্তায় বিক্ষোভ
গত রোববার ব্রাজিলের রাস্তায় বিরাট মিছিল করেছে বলসোনারোর সমর্থকেরা। বলসোনারোসহ যতজনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মামলা চলছে, তাদের নিঃশর্তে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, বলসোনারোর সমর্থকদের উজ্জীবিত করছে বর্তমান অ্যামেরিকার সরকার।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)